যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৯৭ জন নিহত Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:১৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২০, ২০২৫ ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অপ্রত্যাশিত ও নির্বিচার বিমান হামলা চালানো হয়েছে, যেখানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৯৭ জন নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা আরও ২৩০ জনের বেশি। গাজার সরকারি গণমাধ্যম দপ্তর এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। তারা আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনারা এখন পর্যন্ত মোট ৮০ বার যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে। ১০ অক্টোবর ২০২৩ সালে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েল উপর বৃহৎ হামলা চালানোর পর থেকে পরিস্থিতি দ্রুত জটিল হয়ে উঠেছে। ইসরায়েল দাবি করেছে, হামলায় তাদের ১,১০০ এর বেশি সেনা নিহত হয়েছে এবং অনেককে জিম্মি করে গাজার বিভিন্ন স্থান থেকে আনা হয়েছে। এর পাল্টা জবাবে গ্যাসার উপর শুরু হয়েছে ব্যাপক বিমান হামলা। এই দুই পক্ষের সংঘর্ষে হত্যার সংখ্যা এখনই প্রায় ৬৮ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। দীর্ঘ সময়ের সংঘর্ষের পর সম্প্রতি বিশ্বের নজর কেড়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি। এই চুক্তি অনুযায়ী, ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় তাদের অভিযান বন্ধ করবে এবং হামাস জিম্মি অবস্থায় থাকা ব্যক্তিরা – জীবিত ও মৃত – মুক্তি দেবে। তবে এই যুদ্ধবিরতি রক্ষা ও বাস্তবায়নে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। অপর দিকে, ইসরায়েলি সেনারা এখনো ঘোষণা করেছে, তারা গাজার দক্ষিণে হামাসের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালাচ্ছে। হামাস নিশ্চিত করেছে যে, তারা যুদ্ধবিরতি মান্য করছে, তবে ইসরায়েলের এই সাম্প্রতিক আক্রমণ চালানোর জন্য তারা ‘অজুহাত’ খুঁজছে বলে অভিযোগ করেছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নিরাপত্তা বাহিনীকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে তারা গাজায় সন্ত্রাসী অবকাঠামো ও হামাসের বিরুদ্ধে কার্যক্রম চালায়। বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিস্থিতি দ্রুত উত্তেজনা বাড়াতে পারে, কারণ উভয় পক্ষই নিজেদের আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। মার্কিন শান্তি দূত স্টিভ উইটকফ আসন্ন সপ্তাহে মধ্যপ্রাচ্যে গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের ধারণা, এই যুদ্ধের ফলে গাজা অঞ্চলের পরিস্থিতি আরও দুর্বোধ্য ও জটিল হয়ে উঠতে পারে, যেখানে সাধারণ নাগরিকরা ভয়াবহ ক্ষতিক্ষত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য নানা প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: