মানবিক কর্মকাণ্ডে প্রশংসিত ইউএনও মাখন চন্দ্র সূত্রধর

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ২:৩৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৮, ২০২৫

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সূত্রধর একজন মানবিক ও জনবান্ধব প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত। তিনি সিরিয়াসভাবে মানুষের সেবা দিয়ে আসছেন, কখনও সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে সচেতনতা সৃষ্টি করছেন, আবার কখনও হতদরিদ্র সাধারণ মানুষের পাশে ছুটে যাচ্ছেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নানা দাপ্তরিক কাজের মধ্য দিয়ে তিনি সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করেন। তার এই পরিশ্রম এবং মানবিক উদ্যোগের জন্য তিনি সবার কাছে বেশ জনপ্রিয়।

তিনি উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে একযোগে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রথম দিন থেকেই তিনি কাজের প্রতি একাগ্র, এবং তার কাজের ধারা দেখে বোঝা যায়, মানুষজনের জন্য তিনি একান্তই আবেগপূর্নভাবে কাজ করেন। সাধারণত সকাল নয়টা থেকে শুরু করে কখনও রাত বারোটা পর্যন্ত অফিসে থাকেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী রাতেও কাজ চালিয়ে যান।

মাখন চন্দ্র সূত্রধর তার দাপ্তরিক দায়িত্বের পাশাপাশি অসহায়, প্রতিবন্ধী, বয়স্ক, গরিব ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন প্রতিনিয়ত। মৌলভীবাজার জেলার এই কমলগঞ্জ উপজেলার ইউএনও হিসেবে ২০২৫ সালে যোগদান করার পর তিনি দ্রুত প্রশাসনকে স্থিতিশীল করে তুলেছেন। তার এই কঠোর পরিশ্রমের ফলে উপজেলার সুনাম ও জনপ্রিয়তা অর্জন হয়েছে ব্যাপক।

দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তার কর্মদক্ষতা, মানবিকতা এবং জনসেবার জন্য প্রশংসিত হয়েছেন। গত এক বছরে তিনি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন, যার মাধ্যমে কমলগঞ্জের রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো, ও অন্যান্য সামগ্রিক উন্নয়নে অনেক অগ্রগতি হয়েছে।

এছাড়াও, জনসাধারণের সুবিধার্থে তিনি অবৈধ বালু মজুত ও উত্তোলন, ইভটিজিং, মাদক চর্চা, খাবার হোটেল ও নিষিদ্ধ কারেন্ট জালসহ অন্যান্য অবৈধ কার্যক্রমের উপর নজরদারি চালিয়ে আসছেন। তার এই উদ্যোগের ফলে উপজেলার পরিবেশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছে।

স্থানীয়রা বলছেন, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আধুনিকায়ন এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহে সরকারি সহায়তা প্রদানেও তার ভূমিকা প্রশংসনীয়। তিনি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে জনগণের আস্থা অর্জন করেছেন। উপজেলা অফিসে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ তার দ্রুত ও কার্যকরী পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।

অন্যদিকে, তিনি জুলাই-আগস্ট মাসে ভূমি ব্যবস্থাপনা পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে জেলার শ্রেষ্ঠ এসিল্যান্ড হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। তার নেতৃত্বে মোট ১৮টি মোবাইল কোর্টে প্রায় ১২ লক্ষ টাকার জরিমানা আদায় হয়েছে, যা সরকারের কোষাগারে জমা হয়েছে।

মাখন চন্দ্র সূত্রধর বলেন, ‘বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক সেবা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে এবং ভবিষ্যতেও চলবে।’ তিনি তাঁর এই মানবিক ও দায়িত্বশীল কাজের মাধ্যমে উপজেলার উন্নয়নে অবদান রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ।