তাহেরের অভিযোগ: কিছু উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, রেকর্ড রয়েছে

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ২:৩৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৭, ২০২৫

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের অভিযোগ করেছেন যে, অন্তর্বর্তী সরকারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের পক্ষে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছেন। তিনি আজ (মঙ্গলবার) রাজধানীর মৎস্য ভবনের সামনে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা আয়োজিত মানববন্ধনে এ অভিযোগ আনেন।

তাহের বলেন, একটি সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করতে হলে প্রশাসন ও উপদেষ্টাদের পর্যায়ে দলীয় প্রভাব পুরোপুরি সরিয়ে দিতে হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, কিছু উপদেষ্টা একশ্রেণির দলের হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। কারা এই ষড়যন্ত্রে জড়িত, তাদের বিস্তারিত তালিকা ও রেকর্ড আমাদের কাছে রয়েছে।

তিনি আরও জানান, বর্তমান সময়ে ডিসি, এসপি ও ইউএনও নিয়োগে পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে এবং একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়ার জন্য নিয়োগের এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এসব নিয়ন্ত্রণ করছেন কয়েকজন উপদেষ্টা, যারা নিজেদেরকে নিরপেক্ষ বললেও ব্যাপারটা আসলে অন্যরকম। তারা মূলত একটি দলের স্বার্থ রক্ষা করছেন।

তাহের বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে হলে এই ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে। প্রশাসনের ভেতরে দলীয় প্রভাব ও গোপন মদদ থাকলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে। যারা নির্বাচনকে ব্যবসা হিসেবে দেখছেন, জনগণ তাদের ব্যাপারে চরম অসন্তুষ্ট।

জামায়াতের পক্ষ থেকে আবারও গণভোটের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনেবাবত একটি গণভোটের আয়োজন দরকার। এতে জনগণের ইচ্ছা ও বাস্তবতা স্পষ্ট হবে। স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা থাকলে, ২১ দিনের মধ্যে এই গণভোট সম্পন্ন সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, একদল মুখে গণতন্ত্র ও সংস্কারের কথা বললেও, সামগ্রিকভাবে তারা একমত নয়। জুলাই সনের চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য আমরা রাজপথে থাকব। আরো বৃহৎ কর্মসূচি আনার সযোগ দেখা গেলে তা-ও করতে প্রস্তুত।

জামায়াতের রাজনৈতিক বিরোধীদের নেতিবাচক প্রচারণার জবাবে তাহের বলেন, জামায়াত দখলদারি বা চাঁদাবাজি করে না। আমরা জনগণের জন্য রাজনীতি করি। যদি ক্ষমতা পাই, তাহলে কৃষকদের ঋণমুক্ত করার দিকে গুরুত্ব দেব। আমরা চাচ্ছি, সব অন্যায্য বিচার যেন সুষ্ঠু ও ন্যায়ের ভিত্তিতে হয়।

তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, গণমানুষের দাবি মেনে নিন। জনগণের ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধা দেবেন না। পিআর (জনমত) পদ্ধতি মানতে হবে। পাশাপাশি, যারা খুন-গুমের সঙ্গে জড়িত, তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।