বিপিএল আয়োজনের জন্য সময় সংকটের মুখে বিসিবি

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ২:৪৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৬, ২০২৫

শুধুমাত্র দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর বিপিএল এর আয়োজন সম্পন্ন করতে হবে—এমন পরিস্থিতিতে বিসিবির নতুন কমিটির পরিকল্পনায় বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি তারা। আসরটি আগামী ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে মধ্য জানুয়ারির মধ্যে আয়োজনের পরিকল্পনা থাকলেও, এখনও অনেক ধাপ পার হতে বাকি রয়েছে। মূল সমস্যা হলো, ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকানা এখনও নির্ধারিত না হওয়া, যার জন্য ইতিমধ্যে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে পাঁচ বছরের জন্য ১০টি ফ্র্যাঞ্চাইজি নেওয়ার জন্য আগ্রহপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেওয়া হলেও, এখনো আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই, আইনি প্রক্রিয়া, আর্থিক সক্ষমতা নিশ্চিতের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো শেষ হয়নি। প্রতিটি ধাপে অন্তত কিছু সপ্তাহ সময় লাগবে। এর পাশাপাশি চলবে চুক্তি, বিপণন, স্পন্সরশিপ, সম্প্রচার স্বত্ব, বিদেশি ক্রিকেটারদের ড্রাফট, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ভেন্যু সংস্কার, সরঞ্জাম এবং হোটেল ব্যবস্থাপনা—এগুলো সম্পন্ন করাও দরকার। দ্রুততর প্রক্রিয়ায় সব কিছু শেষ করতে না পারা বড় ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে, এমনটাই মনে করেন অভিজ্ঞরা। গতবারের অজুহাতে পাওয়া অভিজ্ঞতা থেকে বিসিবির সহসভাপতি ফারুক আহমেদ বলেন, ‘সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে, অনেক কাজ বাকি। বোর্ড সর্বাত্মক চেষ্টা করছে সব গুছিয়ে আনতে, তবে সময় খুব কম।’ এই পরিস্থিতি কেবল ফারুক আহমেদই স্বীকার করেননি, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইফতেখার রহমানও সময়ের সংকটের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘এটি নেক্সট টু-ইম্পসিবল, খুবই কঠিন। তবে আমাদের চেষ্টা থাকবে।’ আগামী ২ ডিসেম্বর থেকে মাঠে থাকবে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি সিরিজ, এরপর ফেব্রুয়ারি শুরু হবে ভারতে আই-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই দুটির মাঝে মানতে হবে বিপিএলের আয়োজন, যা আরও জটিল করে তুলেছে পরিস্থিতি। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার বিগব্যাশ (১৪ ডিসেম্বর থেকে ২৫ জানুয়ারি), শ্রীলঙ্কার প্রিমিয়ার লিগ (২৭ নভেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর), সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইএল টি-২০ (২ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি) এবং দক্ষিণ আফ্রিকার এসএ টি-টোয়েন্টি (২৬ ডিসেম্বর থেকে ২৫ জানুয়ারি) কার্যক্রম চলে। এসব আসরে প্রায় সব আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় উপস্থিত থাকায় তারা দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এর ফলে, দেশের অন্যতম বড় ক্রিকেট আয়োজনের জন্য দলে বিদেশি ফুটিয়ে তোলার প্রশ্নও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সবমিলিয়ে, এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে—কীভাবে এই সংকট কাটিয়ে সময়ে সফলভাবে বিপিএল আয়োজন সম্পন্ন করা যায়, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।