চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন বর্ধিত ট্যারিফ কার্যকর

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ২:৩৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৫, ২০২৫

এক মাসের স্থগিতাদেশের পর অবশেষে চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন করে বর্ধিত ট্যারিফ কার্যকর করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত ১২টার পর থেকে বন্দরে আগত সব জাহাজ, কনটেইনার ও কার্গো বিলের উপর নতুন দরে ট্যারিফ আদায় শুরু হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের বিস্তারিত জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অর্থ ও হিসাবরক্ষণ বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুস শাকুর। তিনি জানান, ১৫ অক্টোবর থেকে বর্ধিত এই ট্যারিফ কার্যকর হবে। বন্দর সংশ্লিষ্ট সব শিপিং এজেন্টকে তফসিলি ব্যাংকে নতুন হারে অর্থের সংস্থান রেখে জাহাজের প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র (এনওসি) সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বন্দর সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে মোট ৫২টি সেবা খাতের মধ্যে ২৩টিতে সরাসরি এই নতুন ট্যারিফ প্রযোজ্য হয়ে গেছে। গড়ে ৪১ শতাংশ পর্যন্ত এই ট্যারিফ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে কন্টেনার হ্যান্ডলিং খাতে সবচেয়ে বেশি মাশুল নির্ধারিত হয়েছে। প্রতি ২০ ফুটি কন্টেনারের জন্য ট্যারিফ ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ২৪৩ টাকা, যা আগের তুলনায় ১১ হাজার ৮৪৯ টাকা থেকে প্রায় ৩৭ শতাংশ বৃদ্ধি। এছাড়াও, আমদানি কন্টেনারকে দিতে হবে ৫ হাজার ৭২০ টাকা এবং রপ্তানি কন্টেনারে ৩ হাজার ৪৫ টাকা বেশি। প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, ভাড়া, টোল, ফি ও মাশুল ডলারের বিনিময় মূল্যের ভিত্তিতে আরোপিত হবে। প্রতি ডলার হার ধরা হয়েছে ১২২ টাকা, ফলে ডলারের মান বাড়লে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্যারিফও বৃদ্ধি পাবে। উল্লেখ্য, ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে চট্টগ্রাম বন্দরের বর্ধিত ট্যারিফ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছিল। কিন্তু বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের আপত্তির কারণে নৌপরিবহন উপদেষ্টার নির্দেশে এক মাসের জন্য তা স্থগিত করা হয়। এক মাসের মেয়াদ শেষ হওয়ায়, ১৩ অক্টোবর রাত থেকে নতুন হারে ট্যারিফ কার্যকর করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, ১৯৮৬ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে প্রথম মাশুলের হার বাড়ানো হয়েছিল। তারপর দীর্ঘ ৩৯ বছর পর এই হার আবার বাড়ানো হয়েছে, যা মঙ্গলবার রাত ১২টার পর থেকে কার্যকর। তিনি বলেন, ‘অপারেশনাল ব্যয়, রক্ষণাবেক্ষণ ও আধুনিকায়নের ব্যয় কাটিয়ে উঠতে এই ট্যারিফ পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।’