ভারতীয় আধিপত্যের বাইরে থাকা দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার পরিকল্পনা করছে ন্যাশনালিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (এনসিপি), এমনটাই জানিয়েছেন দলের উত্তরাঞ্চলের প্রধান সংগঠক সারজিস আলম। তিনি জানান, এনসিপির নির্বাচনী প্রতীক শাপলা ফুলের আইনগত কোনো বাধা নেই, তাই তারা এই প্রতীকেরই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। آینده ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এনসিপি বিভিন্ন দল এবং জোটের সঙ্গে আলাদা কিংবা সমঝোতার ভিত্তিতে অংশ নেওয়ার পক্ষেও ভাবছে, তবে নিজের প্রতীক নিয়েই নির্বাচন করবে তারা।

শেরপুর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে গত সোমবার রাতে জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দের সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সারজিস আলম এই তথ্য প্রকাশ করেন। তিনি আরও বলছেন, আমাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সংগঠনিক ভিত্তিকে আরও সুদৃঢ় করা। আগামীর রাজনীতি, গণতন্ত্রের পথে অগ্রসর হওয়া, ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যেতে আর নির্বাচন প্রস্তুতির জন্য সংগঠনের কাঠামোকে শক্তিশালী করা একান্ত প্রয়োজন। এজন্য তিনি জানিয়ে দেন, আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিটি জেলায় সংগঠনের সমন্বয় ও পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

সারজিস আলম উল্লেখ করেন, আগে বিএনপি এককভাবে সরকার গঠন করেনি, আবার জঙ্গি সংগঠন জামায়াতে ইসলামীও কোনো বড় পরিসরে জনপ্রতিনিধিত্ব করতে পারেনি। এভাবেই তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, আগামী নির্বাচনে কংগ্রেস বা অন্য কোন জোট সরকার গঠন করবে, সে সিদ্ধান্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এনসিপি। এজন্য সংগঠনের শক্তি এবং কর্মকাণ্ডকে আরও বিস্তৃত করার লক্ষ্যে সারাদেশে সংগঠকরা সমন্বয় সভা আয়োজন করছে। তার মতে, খুব শীঘ্রই দেশের সব ওয়ার্ডে এনসিপির নতুন কমিটি গঠন হবে।

উল্লেখ্য, শেরপুর জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়ক ইঞ্জিনিয়ার মো. লিখন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় সংগঠনিক সম্পাদক আশিকিন আলম, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতারা এবং যুবসংগঠনের প্রতিনিধি ও কর্মীরা।