ইউনিসেফের দাবি: শিশু সুরক্ষায় বেসরকারি খাতের সক্রিয় অংশগ্রহণ আবশ্যক Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ২:৩৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৩, ২০২৫ শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার জন্য বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ, উদ্ভাবন এবং সম্পৃক্ততা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন ইউনিসেফ। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে আইসিসি বাংলাদেশ কার্যালয়ে আয়োজিত এক বৈঠকে ইউনিসেফের প্রাইভেট ফান্ডরেইজিং ও পার্টনারশিপ বিভাগের পরিচালক কার্লা হাদ্দাদ মারদিনি এ আহ্বান জানান। এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) ও ইউনিসেফের নেতারা শিশুর অধিকার রক্ষা, টেকসই উন্নয়ন এবং সামাজিক কল্যাণে বেসরকারি খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। এ তথ্য জানানো হয় আইসিসি বাংলাদেশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, সমাজের দায়বদ্ধতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়নে আইসিসি বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। প্যারিসভিত্তিক আন্তর্জাতিক চেম্বার অব কমার্সের এদেশীয় শাখা হিসেবে তারা দায়িত্বশীল ব্যবসা পরিচালনা ও নৈতিক কর্পোরেট চর্চায় অবদান রেখে দেশের অগ্রগতি ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করছে। তিনি আরও জানান, ইউনিসেফের বিভিন্ন সংস্কারমূলক প্রকল্পে আইসিসি বাংলাদেশ নিয়মিত সহযোগিতা দিয়ে আসছে। ২০২২ সালে সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ইউনিসেফের কার্যক্রমে তারা ১৫ লাখ টাকা অনুদান দেয়। এরপর ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে গাজা অঞ্চলে যুদ্ধবিধ্বস্ত শিশুদের জন্য চিকিৎসা, খাদ্য ও মানবিক সহায়তা প্রদানেও তারা তিন কোটি টাকা দিয়েছে। সভায় ইউনিসেফের প্রতিনিধি কার্লা হাদ্দাদ মারদিনি বলেছেন, বাংলাদেশে প্রতিটি শিশুর শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এখনই বেসরকারি খাতের বিনিয়োগের গুরুত্ব অপরিসীম। ব্যবসায়ীদের সমাজকে একত্রিত করে তারা যৌথ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নেতৃত্ব দিতে পারে—এটাই এখন সবচেয়ে জরুরি। তারা এই সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখতে চান বলে প্রকাশ করেছেন। অতিরিক্ত বক্তারা ছিলেন আইসিসি বাংলাদেশের সহ-সভাপতি এ. কে. আজাদ, এমসিসিআই সভাপতি কামরান টি. রহমান, ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ, বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল, বিজিএমইএর সহ-সভাপতি ব্যারিস্টার বিদ্যা অমৃত খান, ফ্যাশন কোম্পানি প্লামি ফ্যাশনস এর এমডি ফজলুল হক, উত্তরা গ্রুপের চেয়ারম্যান মতিউর রহমানসহ বিভিন্ন শিল্পসংস্থার নেতারা। ইউনিসেফের প্রতিনিধিরা বলেন, বেসরকারি খাত শুধু অর্থনৈতিক সহায়তার মাধ্যমে নয়, তাদের প্রভাব, প্ল্যাটফর্ম ও নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে শিশু অধিকার, লিঙ্গ সমতা ও তরুণদের ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সভা শেষে আইসিসি বাংলাদেশ ও ইউনিসেফ পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য একটি যৌথ রোডম্যাপ প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেয়। এই রোডম্যাপের মূল লক্ষ্য হবে করপোরেট সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি, নীতিগত সংলাপ জোরদার এবং শিশু ও তরুণাদের কল্যাণে সম্প্রদায়ভিত্তিক কার্যক্রম বাস্তবায়ন। এই পরিকল্পনা ২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর স্বাক্ষরিত আইসিসি বাংলাদেশ–ইউনিসেফ সমঝোতা স্মারকের আওতায় বাস্তবায়িত হবে। SHARES অর্থনীতি বিষয়: