সোনাইমুড়ীতে চাঁদা না দেয়ায় সাংবাদিককে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ২:৩০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১১, ২০২৫

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে এক সাংবাদিকের উপর অপ্রত্যাশিত হামলার ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়ায় এই হামলার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে হামলাকারীকে আটক করে, তবে তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। এ সময় পুলিশের কাছ থেকে একটি চুরি, সেভ ইস্টিক নামে একটি লাঠি ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটে ১০ অক্টোবর (শুক্রবার) জুমার নামাজের প্রথম ভাগের সময়, সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা ইউনিয়নের বারাহিনগর গোলালের বাড়ির পাশে। ওই সময় এক নিরীহ সাংবাদিকের ওপর হামলা চালানো হয়। পরে এ ঘটনা নিয়ে ১১ অক্টোবর (শনিবার) সকালে ঢাকায় অবস্থিত ডেইলি প্রেজেন্ট টাইমসের নোয়াখালীর প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার বিবরণে জানানো হয়, বজরা ইউনিয়নের বারাহিনগর গ্রামের মৃত সরাফত উলার পুত্র মোশারফ হোসেন সুমন দীর্ঘদিন ধরে মোস্তফার পোল এলাকায় বসবাস করছেন। অভিযোগ মতে, ১৩ মে ২০২৪ সালে ওই এলাকার সালা উদ্দিন ভূঁইয়ার পুত্র আহছান বিল্লাহ সবুজসহ ৩-৪ জন অস্ত্রধারী ব্যক্তি তার বাসায় এসে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদার জন্য চাপ দেয়। সেই সময় তারা মোশারফ হোসেনকে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।

অভিযোগের অনুসারে, ১০ অক্টোবর জুমার নামাজের সময়, সোনাইমুড়ীর বজরা ইউনিয়নের বারাহিনগর গোলালের বাড়ির পাশে একাই পেয়ে হামলাকারীরা তার ওপর চড়াও হয়। তারা তাকে এলোমেলোভাবে কিল-ঘুঁষি ও মারধর করে এবং ধারালো ছুরির মুখে হত্যার হুমকি দেয়। স্থানীয় জনগণের সহায়তায় তিনি রক্ষা পান। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পৌঁছায় সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের এসআই মিজান, যিনি হামলাকারী আহছান বিল্লাহ সবুজকে আটক করেন। তদন্তে পুলিশ তার কাছ থেকে মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন, একটি চুরি, এবং ‘সেভ ইস্টিক’ নামে একটি লাঠি উদ্ধার করে।

সাংবাদিক মোশারফ হোসেন সুমন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কিছু সময় লেগেছে, তিনি জানিয়েছেন, অভিযুক্ত আহছান বিল্লাহ সবুজ চাঁদাবাজি ও হয়রানির মামলায় আসামি। তার বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনের অভিযোগও রয়েছে। তিনি আরো বলেন, হামলার আগে থেকেই তার উপর ভয়ভীতি দেখানো ও হয়রানি চলছিল। এই নতুন হামলা তার জীবন ও নিরাপত্তার জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন তিনি।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন, “ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুতই প্রধান হামলাকারীকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, পুলিশ জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে।”

প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। তারা অবিলম্বে হামলাকারীদের শাস্তির দাবি জানান।