উপদেষ্টাদের কোনো সেফ এক্সিট নেই: সারজিস আলম

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ২:৩৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১০, ২০২৫

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখপাত্র সারজিস আলম পরিষ্কার করে বলেছেন, কিছু উপদেষ্টা দায়িত্বে দায়িত্বে অবহেলা করে নির্বাচনের মাধ্যমে সহজে এক্সিট নেওয়ার চেষ্টা করছে। এই দায়সারা দায়িত্ব নেওয়ার কারণে কর্তৃত্বশীল সরকার কোনোভাবেই কার্যকরী হতে পারে না। তারা এত শহীদদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় এ ধরনের আচরণ করছে, যা দেশের মানুষের কাছে মেনে নেওয়া কঠিন। তিনি বলেন, ‘মৃত্যু ছাড়া কোনও সেফ এক্সিট নেই। পৃথিবীর যেখানেই যান, বাংলার মানুষ আপনাদের ধরে ফেলবে।’ গতকাল মঙ্গলবার নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এনসিপির জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভার পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

সারজিস আলম অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন একটি রাজনৈতিক দল, জাতীয় লীগ, নিবন্ধনের চেষ্টা করছে, যদিও এর অস্তিত্ব বলতে একটা ছোট ঘর ছাড়া কিছু নেই। তিনি বলেন, ‘যেকোনো দলকে নিবন্ধনের জন্য আগের নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। তবে এখন সবকিছু যাচাই-বাছাই করে নিতে হবে। যদি এটি আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের চেষ্টা হয়, তবে জনগণ ও এনসিপি সেটি মানবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনি যদি ভালো মানুষরা একত্র হয়ে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করতে চান, সেটা করতে পারেন। তবে একথা স্পষ্ট যে, আওয়ামী লীগের যেকোনো ভার্সন বাংলাদেশে কোনওভাবেই অভ্যুত্থান–পরবর্তী সরকারের প্রাসঙ্গিক নয়। এনসিপি তা মানবে না।’

আগামী জাতীয় নির্বাচনে এনসিপি শাপলা প্রতীকের তেই অংশ নেবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শাপলা প্রতীকের জন্য কোনও আইনগত বাধা নেই। কিন্তু নির্বাচন কমিশন স্বতন্ত্র সংবিধানিক সংস্থা হয়েও অনেক সময় স্বেচ্ছাচারিতামূলক আচরণ করছে বা কোনও চাপের মুখে এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া হবে না। আশা করি, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন সংস্থার মতো কাজ করবে।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, ‘তিনি বলেছেন, যে ভাইকে দেশে রেখে গিয়েছিলেন, তাকে আর দেখা যাবে না। তাঁর স্মৃতি সংরক্ষণে থাকা ঘর মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়গুলোতে আমাদের সহমর্মিতা রয়েছে। ভবিষ্যতের বাংলাদেশে এমন ঘটনা আর ঘটবে না বলে আশা করি। বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা ইতিহাসে বারবার হয়েছে। এসব ঘটিয়েছে আওয়ামী লীগ। তাই স্থানীয় পর্যায়ে সরকারি দোসরদের অর্থের বিনিময়ে বা সুবিধার লোভে আর কোনো আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া উচিত নয়।’

সমন্বয় সভায় এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমনসহ বিভিন্ন উপজেলা নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।