নওগাঁয় সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ২:৩৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৯, ২০২৫

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় সংবাদ সংগ্রহের সময় টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান হোসাইন জিয়াদ ও চিত্র সাংবাদিক পারভেজ রহমানের ওপর সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে শহরের মুক্তির মোড়ে, শহীদ মিনারের পাশে ঘন্টাব্যাপী এই কর্মসূচিটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক এবং সংবাদকর্মীরা অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তারা তুলে ধরেন, কিভাবে স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা সংবাদ সংগ্রহের সময় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ক্যামেরা ভাঙচুর ও অন্যান্য সরঞ্জাম ছিনিয়ে নেয়। তারা বলেন, এই ধরনের হামলার প্রতিবাদে বিভিন্ন জেলার সাংবাদিক সংগঠনগুলো প্রতিবাদী সভা ও মানববন্ধন চালিয়ে আসছে, কিন্তু এখনও দোষীদের গ্রেফতারে পুলিশির নীরবতা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) জেলার সভাপতি ও বিজয় টিভির জেলা প্রতিনিধি মোফাজ্জল হোসেন বলেন, সাংবাদিকরা বর্তমানে জনগণের স্বার্থ রক্ষার জন্য তথ্য সংগ্রহের সময় হেনস্তার শিকার হন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশে কীভাবে হামলা হয় এবং কত জনের প্রাণ ঝুঁকিতে রয়েছে, তা তুলে ধরে তিনি দ্রুত তদন্তের দাবি জানান। তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র এখন নয়, অতীতে সাগর রুনি সহ সকল সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের বিচার ও শাস্তি জরুরি। শুধু বিচারই নয়, কার্যকর শাস্তি দেওয়ার মাধ্যমে ভবিষ্যতে এ ধরনের হামলার সাহস কমাতে হবে।

অন্যদিকে, প্রজন্মের আলো পত্রিকার সম্পাদক আব্দুর রহমান রিজভী বলেন, সমাজের গভীরে গভীরে দুর্নীতি ছড়িয়ে রয়েছে। যখনই সাংবাদিকেরা সত্য তুলে ধরতে চেষ্টা করেন, তখন তাদের ওপর মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয় এবং হামলা চালানো হয়। সঠিক বিচার না হওয়ায় অপরাধীরা বারবার ধর্ষিত হয়। তিনি বলেন, এই চক্র থেকে বের হয়ে আসতে না পারলে রাষ্ট্রের ভিত্তি দুর্বল হয়ে যাবে। বিষয়ে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সকলকের প্রতি আহ্বান জানান।

সংক্ষেপে, এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশগুলি চলমান হেনস্তা ও হামলার বিরুদ্ধে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সচেষ্ট হয়ে উঠছে। সাংবাদিকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, যদি দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তবে ভবিষ্যতেও এই ধরনের হামলা ও হিংসা রোখা কঠিন হয়ে পড়বে।