সরকারের লক্ষ্য কর ব্যবস্থাকে স্বচ্ছ, আধুনিক ও ব্যবসাবান্ধব করা

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ২:৩৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৯, ২০২৫

সরকার দেশের কর ব্যবস্থাকে আরো daha স্বচ্ছ, প্রযুক্তিনির্ভর এবং ব্যবসা-বান্ধব করার জন্য কাজ করছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান। তিনি বলেন, রাজস্ব প্রশাসনে শৃঙ্খলা ও দক্ষতা বাড়ানোর জন্য ডিজিটালাইজেশন এবং কর আইন সংস্কার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

বুধবার আগারগাঁওয়ে এনবিআর কার্যালয়ে ফরেন ইনভেস্টর্স চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ফিকি) এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ‘মিট দ্যা বিজনেস’ শীর্ষক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, এই বছরের কর আইন ২০২৩-এর ইংরেজি সংস্করণ দ্রুত প্রকাশের জন্য সরকারি প্রেসে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে কাস্টমস আইন প্রযুক্তিগত পর্যালোচনার মধ্যে রয়েছে এবং ভ্যাট আইন চূড়ান্ত পর্যায়ে। তিনি আশ্বাস দেন, খুব শিগগিরই এই তিনটি প্রধান কর আইন—আয়নকর, শুল্ক ও ভ্যাট—অফিসিয়ালি ইংরেজিতে প্রকাশিত হবে।

তিনি আরও বলেন, কর ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। গত বছর করদাতাদের নগদ কর ফেরত দিতে পারেনি বলে উল্লেখ করে তিনি জানান, এবার এই বিষয়ে বাস্তবায়নের পথে আছেন।

এছাড়াও, এনবিআর চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, আগামী বছর থেকে করপোরেট ট্যাক্স রিটার্ন পুরোপুরি অনলাইনে জমা দেওয়া হবে, যা স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করবে। এর ফলে তথ্যের বিকৃতি বা পরিবর্তনের সুযোগ থাকবে না এবং একদিক থেকে দেশের কর সংস্কৃতি আরও শক্তিশালী হবে।

তিনি বলেছিলেন, চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়কালে রাজস্ব আদায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে হয়েছে ২০ শতাংশ, যেখানে আগের বছর বা একই সময়ের প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ৩ শতাংশ।

তিনি আরও জানিয়েছেন, শিগগিরই ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো (NSW) সিস্টেমে দ্বৈত কর চুক্তি (DTA) সম্পর্কিত সার্টিফিকেট ইস্যু প্রক্রিয়াটিকে সম্পূর্ণ ডিজিটাল করে তোলা হবে। এখন পর্যন্ত সিঙ্গেল উইন্ডো মাধ্যমে ৬ লাখ ২৫ হাজারের বেশি সার্টিফিকেট ও পারমিট ইস্যু হয়েছে, যার ৮০ শতাংশই জমার এক ঘণ্টার মধ্যেই দেওয়া হয়।

অন্যদিকে, অনিয়মের বিষয়েও তিনি সতর্ক করেছেন। তিনি বলেন, দুর্নীতিতে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। করদাতাদের হয়রানি রোধে শূন্য সহনশীলতার (জিরো টলারেন্স) মনোভাব ব্যক্ত করেছেন।

ন্যায্য শুল্ক মূল্যায়নের ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেছেন, তা অবশ্যই লেনদেনের প্রকৃত মূল্য অনুযায়ী হতে হবে। অতিরিক্ত বা ফার্মেশের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে কোনো প্রয়োজন নেই।

শেষে, তিনি উল্লেখ করেন, একটিকে আধুনিক, ন্যায্য এবং প্রযুক্তিনির্ভর কর ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সরকারের আস্থা, ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা এবং করদাতাদের সন্তুষ্টি নিশ্চিত করতে চাই।