বিশ্বজুড়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফ্লোটিলা আটক ও বিক্ষোভ Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ২:৩৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩, ২০২৫ গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার বিরুদ্ধে ইসরায়েলি জলসীমার অভিযান ও আটক ব্যাপক আলোচনা এবং প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছে বিশ্বজুড়ে। গাজায় মানবিক সাহায্য পৌঁছানোর জন্য রওনা হওয়া এই নৌযানগুলোকে ইসরায়েলি নৌবাহিনী চরম দমন-পীড়নের মাধ্যমে বাধা দিয়েছে, যার ফলে অন্তত ৩১৭ জন স্বেচ্ছাসেবী ও অধিকারকর্মীকে আটক করা হয়েছে। এই ফ্লোটিলার মধ্যে বেশিরভাগেরই উদ্দেশ্য ছিল গাজায় মানবিক ত্রাণ পাঠানো, তবে ইসরায়েলি বাহিনী তাদের মধ্যে মারাত্মক বাধা সৃষ্টি করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এসে এই জাহাজগুলোতে যোগ দিয়েছিলেন বিভিন্ন নাগরিক, যেমন স্পেন, ইটালি, ব্রাজিল, তুরস্ক, গ্রিস, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, সুইডেন, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স সহ মোট ৩৭টি দেশের পেশাদার ও স্বেচ্ছাসেবী। ইসরায়েল জানিয়েছে, তাদের নজরদারির কারণে বেশিরভাগ জাহাজই আটকের পড়েছে, তবে কিছু জাহাজ এখনও গাজার জলসীমায় অবস্থান করছে বা তাদের খোঁজ-খবর সম্পূর্ণভাবে নিখোঁজ হয়ে গেছে। ইতালি, গ্রিস, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, আয়ারল্যান্ড, তুরস্ক এবং আরও বেশ কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যেই রাস্তাঘাটে নেমে প্রতিবাদে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। ইতালির রোম, নেপলস, মিলান ও তুরিনের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে হাজারো মানুষ ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ ও ‘সবকিছু বন্ধ করো’ স্লোগানে আন্দোলন শুরু করেন। এই বিক্ষোভের কারণে অনেক স্থানে মেট্রো ও রেলস্টেশন বন্ধ করে দিতে হয় পুলিশ ও কর্তৃপক্ষকে। গ্রীসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলকে অনুরোধ জানানো হয়েছে, তারা যেন আটক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ও কনস্যুলার সেবা দ্রুত কার্যকরি করে। এছাড়াও, আর্জেন্টিনায় নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য সেলেস্টে ফিয়েরোর মুক্তির জন্য সরকারকে পদক্ষেপ নিতে বলেছে বিক্ষোভকারীরা। বেলজিয়ামের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ম্যাক্সিম প্রেভো ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, নাগরিকদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এক মানবিক দায়িত্ব। অন্যদিকে, আয়ারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট মাইকেল ডি হিগিনস বলেছেন, গাজায় মানবিক ত্রাণ পৌঁছাতে বাধা দেওয়া অমানবিক কাজ। এড়ানোর জন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। ফ্রান্স সরকারও ফ্লোটিলায় থাকা নাগরিকদের জন্য দ্রুত ও কনস্যুলার সেবা চালু করতে আহ্বান জানিয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, এই ঘটনার বিচার ও জনগণের অধিকার রক্ষা করতে সব আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেছেন, ইসরায়েল শুধু ফিলিস্তিনিদের মৌলিক অধিকার অগ্রাহ্য করেনি, বরং দুনিয়ার মানবিক বিবেককেও ধূলিসাৎ করেছে। তাহলে, এই সংকটময় মুহূর্তে বিশ্ব বিক্ষোভের ঝঞ্জা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া ও লাতিন আমেরিকা সহ বিভিন্ন মহাদেশের সাধারণ মানুষ এ ঘটনাকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ওপর একটি বড় আঘাত মনে করছেন। সব পক্ষের উচিত এই সংকট সমাধানে দ্রুত ও শান্তিপূর্ণ উদ্যোগ নেওয়া, যাতে গাজার জনগণের জন্য মানবিক সাহায্য পৌঁছানো সম্ভব হয় এবং আন্তর্জাতিক শান্তি বজায় থাকে। SHARES সারাদেশ বিষয়: