এডিবি তিন প্রকল্পে মোট ৩৬২৯ কোটি টাকা অর্থায়ন দেবে Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ২:৩৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১, ২০২৫ খুলনা অঞ্চলে লবণাক্ততামুক্ত ও সুপেয় পানির সরবরাহ সম্প্রসারণের জন্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) তিনটি প্রকল্পে মোট ১৫ কোটি ডলার ঋণ ও ৪ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিচ্ছে। এর ফলে দেশের এই অঞ্চলের অসচ্ছল ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য পানি সরবরাহের মান ও ধারা আরও উন্নত হবে। এটি সরাসরি স্বাস্থ্য ও জীবনমানের উন্নয়নে অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। গত সোমবার নগরীর অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ং এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এই সংক্রান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। ভৌগোলিক ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খুলনা শহরের পানির লবণাক্ততা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা এই প্রকল্পের মূল চ্যালেঞ্জ। প্রকল্পের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ পানির লবণাক্ততা মোকাবিলা এবং শুষ্ক মৌসুমে পানির যোগান নিশ্চিত করতে সাশ্রয়ী এবং টেকসই সমাধান চালু করা হবে। প্রকল্পটি ১৭.৮ মিলিয়ন মানুষকে নির্ভরযোগ্য ও অবিচ্ছিন্ন পানির পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করবে। এর মধ্যে রয়েছে স্মার্ট পানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনা, ডেটা সংগ্রহের আধুনিক ব্যবস্থা, এবং পাইপলাইন সম্প্রসারণ। পাশাপাশি, ২০৫০ সালের মধ্যে এই স্থাপনা দ্বারা এলাকার পানির চাহিদা পূরণে সক্ষমতা অর্জন করা হবে। এডিবির আরও একটি প্রকল্পের আওতায় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল রাজশাহী ও রংপুরের বিদ্যুৎ বিতরণ নেটওয়ার্কের মান উন্নয়ন এবং টেকসইতার জন্য ৯ কোটি ১ লাখ ডলার বিনিয়োগ করা হবে। এতে স্মার্ট প্রযুক্তি ও ডিজিটাল অবকাঠামো সংযোজনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় আধুনিকরণ আনা হবে। দুর্যোগ মোকাবিলা ও দুর্বল সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য সৌর ব্যাকআপ সিস্টেমও বসানো হবে। বিশেষ করে নদী তীরবর্তী নারী ও প্রান্তিক সম্প্রদায়ের জন্য এই প্রকল্পগুলো জীবনযাত্রার মান তুলে ধরবে ও ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। অন্য এক গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে এডিবি মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ৫ কোটি ৮৬ লাখ ডলার অনুদান ঘোষণা করেছে। এই অর্থ দিয়ে বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গা ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের জীবনমানের উন্নয়ন ও সামাজিক সংহতি বাড়ানো হবে। মিয়ানমার থেকে পালানো মানুষের সহায়তার পাশাপাশি সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতে এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এডিবি বলেছে, তারা আগের সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে এবং এই নতুন অনুদানের মাধ্যমে পরিস্থিতি আরও ভালোভাবে পরিচালনা সম্ভব হবে। SHARES অর্থনীতি বিষয়: