আ’লীগের ইতিহাস: লুটপাট, সন্ত্রাস ও চুরি Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ২:৩৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ ইতিহাসের দীর্ঘ সময় ধরে লুটপাট, সন্ত্রাস এবং অর্থ পাচারের অপকর্মের জন্য পরিচিত। তারা নিজেদের অপকর্মের বিষয়ে কখনো মুখ না খুলে চুরি ও দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের সম্পদ লুট করেছে, যা ইতিহাসের কলঙ্ক। একই সঙ্গে, তাদের রাজনীতি গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার চেয়ে বরং হিংসা, হত্যাকাণ্ড এবং অশান্তির ইতিহাস নিয়ে গর্বিত। গতকাল শনিবার বিকেলে কুমিল্লার টাউন হল মাঠে অনুষ্ঠিত kুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সম্মেলনে এ সব কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি আরও বলেন, ‘চব্বিশের আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ১৪শ মানুষকে হত্যা করেছে। ২০ হাজারের বেশি মানুষ পঙ্গুত্ববরণ করেছে। এত রক্তের গল্প ও ত্যাগের মধ্য দিয়ে হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের পতনের পথ প্রশস্ত হয়েছে। আমাদের রক্তের ইতিহাস ভুলে গেলে হবে না, কারণ এই সংগ্রামই আমাদের পরিচয়।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপির ইতিহাস হলো দেশের রাজনৈতিক সংস্কার এবং জনগণের মনোভাবের পরিবর্তনের ইতিহাস। বাংলাদেশে গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও মুক্তির সংগ্রামে বিএনপি অন্যতম শক্তিশালী ভূমিকা পালন করেছে।’ সালাহউদ্দিন আহমদ আরও যোগ করেন, ‘ধর্ম নিয়ে রাজনীতির কোনো স্থান নেই। ইসলাম রাজনৈতিক বাক্স নয়। যারা ইসলামের নামে বিভাজন সৃষ্টি করে, তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন করতে হবে। তিনি বলেন, একাত্তরের চেতনা ও আত্মা দিয়ে দেশে রাজনীতি চালাতে হবে, ধর্মের নামে রাজনীতি বা ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। এখন জনগণ সচেতনভাবে এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘কেউ কেউ জান্নাতের টিকিট বিক্রি করার চেষ্টা করছে, তারা আসলে ধর্মের ব্যবসায়ী। এরূপ ধর্মের ব্যবসা আর চলবে না।’ সংস্কার প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘বর্তমানে প্রকৃত সংস্কারকার হলো তারেক রহমান, যার ৩১ দফা আমাদের দেশের জন্য সত্যিই যুগোপযোগী। আমরা সেই ৩১ দফাকে জোর দিয়ে বলি, এটি কোনো সিলগালা বা বন্ধ করে দেওয়া সংস্থা নয়, বরং এই দফাগুলোর মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন ও পরিবর্তন আনা সম্ভব। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, যা অব্যাহত থাকতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘বিচার ও সংস্কার ছাড়া নির্বাচন সম্ভব নয়, তবে আমি বিশ্বাস করি, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আশা করি একটি নিরপেক্ষ, আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বললেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকো। অপপ্রচার ও মিথ্যাচার প্রতিরোধে কাজ করো। একটি বিশেষ গোষ্ঠী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে, তার মোকাবিলায় সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকতে হবে ও সত্যতা তুলে ধরতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিচার দাবি করি। গুম, খুন ও গণহত্যার সঙ্গে জড়িত অবৈধ অপকর্মের জন্য ট্রাইব্যুনাল আরও বৃদ্ধি করতে হবে। সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন একসঙ্গে চলবে।’ এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, কেন্দ্রীয় শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কালাম, কুমিল্লা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন ও সদস্যসচিব আশिकুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। SHARES রাজনীতি বিষয়: