তারেক রহমান: আগামিদিনে ঢুকে পড়তে পারে ছদ্ম স্বৈরাচার

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ২:৩৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ না হই এবং গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো একজোট না হই, তাহলে ২০০৮ সালের নির্বাচনের পরের পরিস্থিতির মতো, আবারও স্বৈরাচার জেঁকে বসতে পারে। বিশেষ করে তরতরিয়ে ওঠা গুপ্ত স্বৈরাচারের আশঙ্কাও জোরালো হয়ে উঠতে পারে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘জনগণের চাহিদা অনুযায়ী চলতে হবে আমাদের। একটি কেন্দ্রীয় কথা সবসময় মাথায় রাখতে হবে— সেটা হলো, বাংলাদেশের স্বার্থটাই আগে। এখানেই আমাদের সংগ্রাম শুরু, এখানেই শেষ।’ শনিবার বিকেলে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে কুমিল্লা দক্ষিণ বিএনপির সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এই সম্মেলন পরবর্তী ১৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিএনপির বিভিন্ন নেতা এবং কর্মীরা অংশ নেন। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী, আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কালাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাক মিয়া। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ও তাহের সুমন। তারেক রহমান বলেন, ‘বক্তব্য অনেক হয়েছে। এখন আমাদের কাজের সময়। আজকের সম্মেলনের স্লোগান হোক, ঐক্য, জনগণ এবং পুনর্গঠনের জন্য। আমাদের নেতাকর্মীরা হাজার হাজার জনতার সাথে আন্দোলনে নেমেছেন, জেল খেটেছেন, গুম হয়েছেন। স্বৈরাচার পতনের পেছনে তারাই দড়। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘এখনই সময়, সবাই মিলে কাজ করে সুন্দর একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। উন্নয়ন, জনগণের সেবা ও সত্যিকারের গণতন্ত্র আনতে হবে। প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছাতে হবে। মানুষের কাছ থেকে জানতে হবে তারা কী চায় এবং কীভাবে পাশে দাঁড়ানো যায়।’ তারেক রহমান আরো বলেন, ‘গুপ্ত স্বৈরাচার থেকে দেশের এবং দেশের মানুষের রক্ষার জন্য আমাদের দল হিসেবে একযোগে কাজ করতে হবে। সব ভেদাভেদ ভুলে একসাথে থাকতে হবে, কারণ আমাদের লক্ষ্য হলো দেশের উন্নতি ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠা।’ তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর এক স্বৈরাচার দেশের ওপর তার অবরোধ চালিয়েছিল। এর পর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেছিলেন। কিন্তু এরপরই আবার স্বৈরাচার ফিরে আসে। জনগণের আন্দোলনের মাধ্যমে ওই স্বৈরাচারকেও বিতাড়িত করা হয়। চল্লিশের দশক থেকে এ পর্যন্ত জনগণ বিভিন্ন সময় স্বৈরাচারকে প্রতিহত করেছে। এখন মূল লক্ষ্য হলো দেশের অবকাঠামো নির্মাণ ও পুনর্গঠন। বাংলাদেশের সম্পদ, শ্রমিক আর জনগণের শ্রম দিয়ে এই দেশটিকে আবার সুসংগঠিত ও সুন্দর করে তুলতে হবে। তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা অতীতে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছি। এবার আমাদের সবকিছু কন্ট্রোলে রাখতে হবে, কারণ দেশের মূল কাজ এখন দেশ গড়ে তোলার। দেশের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারি তখনই, যখন সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যাবে।’ সম্মেলনে নতুন সভাপতি হিসেবে জাকারিয়া তাহের সুমন এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম ঘোষণা করা হয়।