আওয়ামী লীগের ইতিহাস: লুটপাট, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির দীর্ঘ ইতিহাস Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ২:৩৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস হচ্ছে লুটপাট, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির ইতিহাস। তাদের ইতিহাস হচ্ছে চুরি, অর্থ পাচার এবং গণতন্ত্রকে হত্যার ইতিহাস। গতকাল শনিবার বিকেলে কুমিল্লার টাউন হলে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন। সালাহউদ্দিন আহমদ উল্লেখ করেন, চব্বিশের আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ১৪শ’ এর বেশি মানুষকে হত্যা করেছে, এবং ২০ অর্ধেকের বেশি মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। এত রক্তক্ষরণ, ত্যাগ এবং সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আজ আমরা এখানে পৌঁছেছি। তিনি সতর্ক করে বলেন, আমরা যেন আমাদের রক্তাক্ত ইতিহাস ভুলে না যাই। তিনি আরও বলেন, বিএনপির ইতিহাস হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কারের ইতিহাস। এই দল দেশের মানুষকে সত্যিকারের পরিবর্তনের জন্য সংগ্রাম করতে উৎসাহ দিচ্ছে এবং যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। সালাহউদ্দিন আহমদ ধর্ম নিয়ে রাজনৈতিক ব্যবসা বন্ধের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ইসলাম কোনো রাজনৈতিক ধাপ বা বাক্স নয়। যারা ইসলামের নামে বিভাজন সৃষ্টি করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে। তিনি মন্তব্য করেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী হাসিনা নিঃসন্দেহে দিল্লিতে আশ্রয় নিয়েছে, আর দেশের মূল চেতনা বিক্রি করে দিয়েছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, ধর্মের নামে ব্যবসা চলবে না, এবং কোনও চেতনা ব্যবসায়ীর জন্য এই দেশে স্থান হবে না। জনগণ এখন সচেতন এবং তারা এইসব অপপ্রচারকে প্রত্যাখ্যান করবে। সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, কেউ কি জান্নাতের টিকিট বিক্রি করতে পারে? যারা এই ধরনের ιδেয়া বিক্রি করতে চায়, তারা শুধু ধর্ম ব্যবসায়ী। সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা সংস্কার নিয়ে কথা বলে, তারা জানে না বর্তমানের প্রকৃত সংস্কারকারক হচ্ছেন তারেক রহমান। তারেক রহমানের ৩১ দফা আসল সংস্কারকে নির্দেশ করে এবং আমরা কেউ যদি আরও যৌক্তিক propuestas আনতে চাই, তা যুক্ত করা হবে। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, যার শেষ হলো না। কেউ বলছে, বিচার ও সংস্কার না হলে নির্বাচন হবে না, তবে আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন অভিমুখে এগিয়ে যাচ্ছে। একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে একটি স্বাধীন, গণতান্ত্রিক সরকার আসবে। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকতে হবে। সকল অপপ্রচারের জবাব দিতে হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে কিছু গোষ্ঠী আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে, যা মোকাবিলা করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় সচেতন থাকতে হবে ও সত্য তুলে ধরতে হবে। অবশেষে তিনি বলেন, আমরা বিচার চাই, যারা গণহত্যা, গুম ও খুন করছে, তাদের যেন শাস্তি হয়। এর জন্য ট্রাইব্যুনাল বাড়াতে হবে। সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন একসঙ্গে চলতে হবে। এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, হাজী আমিনউর রশীদ ইয়াছিন, কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সেলিম ভূইয়া, কেন্দ্রীয় শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কালাম, কুমিল্লা বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন, সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। SHARES রাজনীতি বিষয়: