এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদ একীভূত হতে যাচ্ছে Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ২:৩৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৫ জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণঅধিকার পরিষদ এখন একত্রিত হওয়ার প্রাথমিক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে, যা দেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান জানান, এ ঐক্যের আলোচনা ইতিবাচকের দিকে এগিয়ে চলেছে। তিনি বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন যেন এ বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো বিরুপ মন্তব্য না করা হয়, কারণ এতে যেন ঐক্য বাধাগ্রস্ত না হয়। রাশেদ খান রোববার রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এই আহ্বান জানান। তিনি বলেন, তরুণরা ঐক্যবদ্ধভাবে পথচলার জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে এবং এটি দেশের পolitিকাল পরিবর্তনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইতিমধ্যে গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপির নেতাকর্মীরা ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন, ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচন, ২০২১ সালের মোদি বিরোধী আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলনে একসাথে কাজ করে এসেছে, যা তাদের মধ্যে একটি গভীর সম্পর্ক ও সহযোগিতা সৃষ্টি করেছে। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে ভাঙনের বিরুদ্ধে প্রতিপাদ্য হিসেবে একসঙ্গে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকারও ব্যক্ত হয়েছে। রাশেদ খান বলেন, উভয় নেতাদের মধ্যে এখনো ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, এবং তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে ঐক্যকে আরও শক্তিশালী করে তোলা। তিনি আবারো অনুরোধ করেন যেন কোনো নেতিবাচক মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে না করা হয়। অন্যদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রধান সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক দৃশ্যপটে তিনটি বৃহৎ ব্লক তৈরি হতে যাচ্ছে। একটি হল স্বতন্ত্রভাবে নেতৃত্বদানকারী তরুণদের বড় জোট, আরেকটি হলো ইতিমধ্যে গড়ে ওঠা ইসলামিক ব্লক এবং বিএনপি কর্তৃক নেতৃত্বাধীন একটি ব্লক। তিনি আরও জানিয়েছেন, এনসিপি ‘শাপলা’ প্রতীকে ভোটে দাঁড়িয়ে দেড়শ আসন পেতে আগ্রহী এবং এই রাজনীতির তিনটি ব্লকের মধ্যে এনসিপি নিজেকে স্বতন্ত্র অবস্থানে রাখছে। গতকাল সোমবার নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ.এম.এম. নাসির উদ্দিনের সাথে এক বৈঠকের পর এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, এনসিপি ভবিষ্যতে শাপলা প্রতীকে ভোট করবে বলে আশা করছে এবং তাদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বা অন্য কোনো শক্তির সঙ্গে জোট হবে না। তিনি জানান, এনসিপি তরুণদের নিয়ে একসাথে কাজ চালিয়ে যাবে এবং গণমাধ্যমে এ বিষয়টি তুলে ধরা হবে। গণঅধিকার পরিষদ যদি এনসিপির সঙ্গে একত্রিত হয়, তখন দলটির নাম ও প্রতীক থাকবে, এবং নানা দলের আরও অনেক মতবাদ এই ব্যানারের আওতায় আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এই গণঅভ্যুত্থানের সময় একটি ইশতেহার দিয়েছি, যেখানে বলেছি, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা এখনও বিলোপ হয়নি, তাই আমাদের দীর্ঘ লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। গত ১৫ বছরে যারা আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন, তারা সবাই এই একত্রীকরণে সম্মত হয়েছেন। আমরা মনে করি, এই একত্রীকরণ দেশের চরিত্র ও রাজনৈতিক দৃশ্যপট পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’ তিনি আরও জানান, বৃহত্তর তরুণদের সঙ্গে গঠনমূলক জোট ও আন্দোলন নিয়ে কাজ চলছে এবং ১৫০টি আসন লাভের লক্ষ্য রয়েছে। আগামী দিনগুলোতে, যদি গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া তরুণ নেতাকর্মীরাও এই জোটে যুক্ত হন, তাহলে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী দলগুলোর লোকসান ঘটবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। এছাড়া, ভবিষ্যতে নির্বাচনে প্রতীকের বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, যেখানে এনসিপির নাম ও প্রতীক থাকবে এবং অন্যান্য দলগুলো মুছে যাবে। এই বৃহৎ জোট ও দলবদলের মাধ্যমে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদল ও গণআন্দোলনের নতুন দিগন্ত উম্মোচিত হবে—এমনই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন এনসিপির নেতারা। SHARES রাজনীতি বিষয়: