আড়াই মাসে মোংলা বন্দরে নোঙর করেছে ১৭১টি বিদেশি জাহাজ

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৯:৪৫ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৫

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর, মোংলা বন্দরে গত আড়াই মাসে মোট ১৭১টি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ নোঙর করেছে। এর ফলে বন্দরের রাজস্ব আয় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই জাহাজগুলোর মধ্যে ১২টিতে ৮ হাজার ৫১৪টি টিইইউ কন্টেইনার বহন করা হচ্ছে, যা দেশের বিভিন্ন পণ্য আমদানির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া ৬টি জাহাজে ২ হাজার ১১৮টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গাড়ি আনা হয়েছে।

বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই বন্দর দিয়ে মোট ১৮.০২ লাখ টন পণ্য পরিবহন হয়েছে। দেশের অর্থনীতির দরকার অনুযায়ী মোংলা বন্দরের গুরুত্ব আবারো প্রমাণিত হয়ছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে এই বন্দরে জাহাজ আগমনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মোংলা বন্দরের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ মাকরুজ্জামান বলেন, বর্তমানে সার, ক্লিংকার, এলপিজি, কয়লা এবং পাথর বহনকারী ১৫৩টি বিদেশি জাহাজ এই বন্দরের জেটিতে এবং হারবাড়িয়া বোয়া, বেস ক্রিক, সুন্দরী কোটা ও মুরিং বোয়া পয়েন্টের স্থায়ী নোঙর করে অবস্থান করছে।

তিনি উল্লেখ করেন, মোংলা বন্দর বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করছে। এই বন্দরে লাখ লাখ মানুষ কর্মসংস্থান পাচ্ছে। ঠিক পাশাপাশি, বিভিন্ন ধরনের পণ্য যেমন খাদ্যশস্য, সিমেন্টের কাঁচামাল, ক্লিংকার, সার, অটোমোবাইল, যন্ত্রপাতি, চাল, গম, কয়লা, তেল, পাথর, ভুট্টা, তৈলবীজ, এলপিজি গ্যাসসহ দেশের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

এছাড়া মাছ, চিংড়ি, পাট ও পাটজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, কাঁকড়া, টাইলস, রেশম কাপড় ও অন্যান্য সাধারণ পণ্যও এই বন্দরের মাধ্যমে রপ্তানি হচ্ছে।

মাকরুজ্জামান বলছিলেন, বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সাতটি উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। ফলে জাহাজ আগমন ও পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম অধিকতর বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বিশেষ করে, এখনকার সময়ে আমদানিকারকরা দেশের বাজারে রিকন্ডিশনড গাড়ি আনতে আগ্রহী হওয়াতে মোংলা বন্দরে এই ধরনের গাড়ি আমদানির পরিমাণও বেড়েছে। যদি এই চলমান প্রকল্পগুলো সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়, তাহলে মোংলা বন্দর আন্তর্জাতিকভাবে একটি পরিবেশবান্ধব ও ব্যবসা-বান্ধব কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠবে।