গৃহবধুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৭:৪৭ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৫

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামে এক গৃহবধুর মরদেহ গলায় দড়ি টানানো অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে নিজ ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ নম্বর গায়েই মরদেহটি উদ্ধার করে। মৃত্যুকালে তিনি ছিলেন ৩১ বছর বয়সী টলি খাতুন, যিনি কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের সবেদ আলীর মেয়ে। তিনি প্রায় ৩০ বছর আগে গাংনী উপজেলার কাজিপুর সর্দ্দার পাড়ায় তার স্বামী তাজুল ইসলাম সাথে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের মাধ্যমে সংসার শুরু করেন।

নিহত গৃহবধুর পরিবারের দাবি, তার স্বামী তাজুল ইসলাম রাতের অন্ধকারে তাকে নির্যাতন করে হত্যা করে। পরে দড়ি দিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে দিয়ে চালাচ্ছে আত্মহত্যার নাটক। তারা অভিযোগ করেছেন, এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি দাবি করেন। এছাড়াও, যদি তাজুল নির্দোষ হয়, তবে কেন তার স্ত্রী মরদেহ রেখে পালিয়ে গেছে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

নিহত গৃহবধুর ফুফু মুর্শিদা খাতুন বলেন, টলি খাতুর শরীরে অনেক ক্ষতের দাগ রয়েছে। গলার নির্যাতনের চিহ্ন, পেটে আঘাতের ক্ষতও দেখা গেছে। আমি নিশ্চিত, তাকে নির্যাতন করেই হত্যা করা হয়েছে। আমি তাজুলের ফাঁসি চাচ্ছি।

অপর দিকে, স্বামী তাজুল ইসলামের চাচা এনামুল হক জানান, তাজুল তার স্ত্রীকে খুব ভালোবাসতেন। কিছুদিন আগে তার সাথেই একটি জমি রেজিস্ট্রি করে দিয়েছিলেন। তবে, গতকাল তার শাশুড়ি না খাওয়ায় রেগে গিয়ে স্ত্রীকে বকাবকি করেন। সেই সময়, চিৎকারের মধ্যে স্ত্রী একটি দড়ি নিয়ে এসে বলেছিলেন, ‘আমি আত্মহত্যা করে তোকে জেলের ভাত খাওয়াবো’—এমন কথাও শোনা গেছে।

গাংনী থানা পুলিশের ভবানীপুর পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এস আই আব্দুল করিম বলেন, মৃত্যুর খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে গৃহবধুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রথমিক তদন্ত শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে, পাশাপাশি নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।