গুলশানে ফ্ল্যাটের মালিক ছাত্রলীগ নেত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ২:৩১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৫ রাজধানীর গুলশানে ইস্টার্ন হাউজিংয়ে একটি পর্যবেক্ষিত ফ্ল্যাটের মালিক শেখ হাসিনার ভাগনি ও যুক্তরাজ্যের সাবেক সংসদ সদস্য টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত চলমান। গতকাল রোববার আদালত চতুর্থ দিন সাক্ষ্যগ্রহণের সময় প্লট জালিয়াতি সংক্রান্ত বিভিন্ন নথি জব্দ ও প্রমাণ হিসেবে দাখিল করেন সাক্ষীগণ। ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতে এই শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের তিন কর্মকর্তা—নির্বাহী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ফরহাদুজ্জামান, অপারেটর শেখ শমশের আলী, ও অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সিকিউটিভ সদস্য হিমেল চন্দ্র দাস। পাশাপাশি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা আক্তার জাহানও সাক্ষ্য দিতে উপস্থিত ছিলেন। জবানবন্দিতে তারা জানান, টিউলিপ সিদ্দিক ডF্ল্যাটটি তার বোন আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তীকে ব্যক্তিগতভাবে হস্তান্তরের দাবি করেন। তবে আইন অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশনবিহীন দলিল দিয়ে হস্তান্তর আইনত কার্যকর নয়, তাই তিনি এখনো এই ফ্ল্যাটের বৈধ মালিকানার দাবি করেন। তবে আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের জেরা সম্ভব হয়নি। এছাড়াও, এই মামলার মধ্যে প্লট লেনদেনের জালিয়াতি নিয়ে মোট ১৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এসব মামলায় সরকারের উচ্চ পর্যায়ের মানুষজন—including সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ও অন্য বোন টিউলিপ সিদ্দিকের নাম উল্লেখ রয়েছে। পরে জানা যায়, ৬ অক্টোবর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারিত হয়েছে। এর আগে, সাক্ষীরা জানান, ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের প্রভাবে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনানুষ্ঠানিকভাবে পূর্বাচলে ৩০ কাঠা প্লট বরাদ্দ দেন। এরপর, ২৩ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগে বলা হয়, সরকারের শীর্ষ পদে থাকাকালীন সময়ে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। অযোগ্য হলেও তারা পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরে ১০ কাঠা করে প্লট বরাদ্দ নেন। গত ৩১ জুলাই এসব মামলার জন্য আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করেন। SHARES জাতীয় বিষয়: