তarek রহমান: জনগণের পাশে থাকতে হবে, জনগণকে পাশে রাখতে হবে

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ২:৩৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশের মানুষ ও জনগণের নিরাপত্তা ও স্বার্থ আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের উচিত প্রতিটি ক্ষেত্রেই জনগণের পাশে থাকা এবং তাদের বিশ্বাস বা সমর্থনকে ধরে রাখা। শনিবার বিকালে কিশোরগঞ্জে অনুষ্ঠিত বিএনপি’র ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, গত ১৬ বছর ধরে দেশবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটিয়েছে। এ সময়ের মূল উদ্দেশ্য ছিল গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও রাজনৈতিক অধিকার ফিরে পাওয়া। নির্বাচনের মাধ্যমে এর বাস্তবায়ন সম্ভব, তাই ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনসহ যে কোনও পরিস্থিতিতে আমাদের একসঙ্গে থেকে luta করা উচিত। তিনি উল্লেখ করেন, তিনি এবং তার দল ৩১ দফা কর্মসূচি দিচ্ছেন যা দেশের শিশুবৃন্দ, যুবক, নারী ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের অধিকার রক্ষা করবে। এসব কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের জনগণের কাছে যেতে হবে এবং তাদের মাঝে আস্থা স্থাপন করতে হবে।

তারেক রহমান সতর্ক করেন, কেউ যেন বিএনপির নাম ভাঙিয়ে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের চেষ্টা না করে, বা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার দায়িত্ব নেয়। তিনি বলেন, বিএনপি আসলে কোনো ব্যক্তির দল নয়; এটা ধানের শীষের দল, যা জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতিনিধিত্ব করে। দলীয় নীতিনির্ধারণী মহলের সিদ্ধান্ত মান্য করে একযোগে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান তিনি।

সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে, অপপ্রচারে লিপ্ত হয়ে বিভিন্ন মহল বিএনপির উপরে নানা আপত্তিজনক মন্তব্য করছে। তারা অভিযোগ করেন, বিএনপি ধর্মবিশ্বাসে অন্ধ নয়, বরং সংবিধানে বিসমিল্লাহ সংযোজন করেছে। তিনি বলেন, যারা এই অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে এবং ইতিহাসে গণহত্যা চালিয়েছে। মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির ৩১ দফার মধ্যে সংস্কার বিষয়টিও উল্লেখ রয়েছে, যা বাস্তবায়িত হলে দেশ উন্নত, আদর্শনিষ্ঠ ও সমৃদ্ধ গণতান্ত্রিক দেশে রূপ নেবে।

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম মন্তব্য করেন, দেশের পরিস্থিতি আজ দুইভাগে বিভক্ত। এক পক্ষে ভারতের আধিপত্যবাদের পক্ষে এবং অন্য পক্ষে বিপক্ষে কণ্ঠস্বর। তিনি বলেন, বিএনপি মূলত: ঐক্যবদ্ধভাবে সকল আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তিনি সংঙ্গোপনে বলেন, বিএনপি ডানপন্থী বা বামপন্থী নয়, বরং মধ্যপন্থী। দলটির পক্ষ থেকে দেশের সকল মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করা হচ্ছে।

প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেল। তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামি ধর্মের ব্যবসা করছে ও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তিনি বললেন, তারা মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পাকবাহিনীকে সহযোগিতা করেছে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অনেককে হত্যা করেছে। তাই সকল ভোটারকে এই বিষয়গুলো নিয়ে সচেতন থাকতে আহ্বান জানান।

কিশোরগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়ামে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পরে দলীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়।

আয়োজনে ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে, কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। প্রতিযোগিতায় ২১টি ইউনিটের কাউন্সিলর ভোটের মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবেন।