জাতিসংঘের বাজেট কমানোর প্রস্তাব মহাসচিবের Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ২:৪২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫ ২০২৬ সালে জাতিসংঘের বাজেট ১৫ শতাংশ কমানোর পরিকল্পনা করেছেন সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এই প্রস্তাবের পেছনে মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির কারণে দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকা তারল্য সমস্যা। মঙ্গলবার নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দপ্তর থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এই তথ্য প্রকাশ করে। একটি জাতিসংঘের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, নতুন সংশোধিত বাজেট ধরা হয়েছে ৩.২৩৮ বিলিয়ন ডলার। এই বাজেট কমানোর ফলে সংস্থাটির প্রায় ২৬৮১ জন কর্মীকে চাকরি হারাতে হতে পারে। এর আগে, গুতেরেস ২০২৫ সালের সাথে তুলনা করে ২০২৬ সালের বাজেটের পরিকল্পনায় উল্লেখ করেছিলেন যে, এটি হবে বর্তমানের সমান, অর্থাৎ প্রায় ৩.৭ বিলিয়ন ডলার। তবে, সংস্থাটিকে আরও শক্তিশালী ও দক্ষ করে তুলতে এবং দ্রুত কার্যক্রম চালাতে গুতেরেস এরই মধ্যে ইউএন ৮০ উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই বাজেট কমানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। গত মঙ্গলবার, মহাসচিব তার পাঠানো চিঠিতে জানান যে, নিয়মিত বাজেটের ১৫ শতাংশ এবং কর্মীসংখ্যার ১৯ শতাংশ কমানো হবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, এই সংকোচনের ফলে জাতিসংঘের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ—শান্তি ও নিরাপত্তা, মানবাধিকার, ও টেকসই উন্নয়ন—প্রভাবিত হবে। একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সম্ভবত জেনেভা এবং নিউইয়র্কের বেশ কিছু কর্মকর্তা নাইরোবির মতো কম ব্যয়বহুল শহরে স্থানান্তরিত হচ্ছেন। প্রস্তাবিত এই বাজেটটি বছরের শেষের দিকে সাধারণ পরিষদে ভোটাভুটির জন্য উপস্থাপন করা হবে। বর্তমানে কিছু সদস্য রাষ্ট্র তাদের অবদান সম্পূর্ণরূপে দিতে বাধ্য নয় কিংবা সময়মতো দিতে না পারায়, জাতিসংঘ পর্যায়ক্রমে দীর্ঘস্থায়ী অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাধারণত জাতিসংঘের নিয়মিত বাজেটের প্রায় ২২ শতাংশ অর্থ সরবরাহ করে, যা মূল সংস্থার কার্যক্রম ও শান্তিরক্ষা তহবিলের জন্য। জানুয়ারির শেষের দিকে, ওয়াশিংটনের কাছে জাতিসংঘের বকেয়া ছিল ১.৫ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু, ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস পুনরায় যাওয়ার পর থেকে তিনি এই অর্থের কোনও পরিশোধ করেননি। ফলে, ভবিষ্যতে মার্কিন অর্থায়নের ব্যাপারে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য, ইতোমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেশ কিছু জাতিসংঘ সংস্থা ত্যাগ করেছে এবং কংগ্রেস জুলির মধ্যে অনুমোদিত অর্থবিল বাতিলের পক্ষে ভোট দিয়েছে। SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: