ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণা

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ২:৪৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫

ফিলিস্তিনের গাজায় নৃশংস হামলা এবং হত্যাযজ্ঞের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ইসরায়েল সফর করেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং এই সংকটের মধ্যে ইসরায়েলকে ‘অবিচল সমর্থন’ দেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। রুবিও বলেছেন, গাজায় চলমান সংঘাত আর হামাসকে নির্মূল করার জন্য তার দেশ সম্পূর্ণভাবে ইসরায়েলকে সমর্থন করবে।

রুবিও ইসরায়েলে পৌঁছান গত রোববার। এরপর সোমবার তিনি জেরুজালেমে নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন। এই সময় তিনি পশ্চিমা দেশগুলো দ্বারা ঢাকা ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি প্রক্রিয়ার ব্যাপারেও নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করেন, বলেন, এই পরিকল্পনা তাৎক্ষণিকভাবে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে কোন ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে না, বরং হামাসকে আরও সাহসী করবে।

তিনি আরও বলেন, গাজার জনগণের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ অবশ্যই প্রত্যাশা করা হচ্ছে, তবে হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত সেই আশা অধরা। তিনি নেতানিয়াহুর উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘আপনি আমাদের অব্যাহত সমর্থন ও অঙ্গীকারের ওপর নিশ্চয়তা রাখতে পারেন।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, গাজা দখলের পরিকল্পনা নিয়ে নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইসরায়েলকে সমর্থনের প্রশংসাও করেন নেতানিয়াহু, যাকে তিনি বলে থাকেন ইসরায়েলের ‘সর্বকালের সেরা বন্ধু’। তিনি উল্লেখ করেন, ট্রাম্পের ক্ষমতায় থাকার সময় থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে ব্যাপক সমর্থন দিয়ে চলেছেন।

প্রসঙ্গত, এই সময়ে গাজার উত্তরে অন্তত ২৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, এর আগের দিনও সেখানে ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইসরায়েলের হামলার কারণে লাখ লাখ মানুষ পালাচ্ছেন এই অঞ্চল থেকে। ৭ অক্টোবর হামাসের বৃহৎ হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক হুমকি এবং হামলা চালিয়ে আসছে। এই হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত এবং ২৫০ জন জিম্মি হয়েছেন গাজায়। এই সংঘর্ষ ২৩ মাসের বেশি সময় ধরে চলেছে, যেখানে আক্রান্ত হয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ।

অন্যদিকে, ৯ সেপ্টেম্বর কাতার দোহায় হামাস নেতা ও ফিলিস্তিনি প্রতিনিধিদের ওপর ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে ব্যাপক জোরালো সমালোচনা হয়েছে। এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে কাতার। পাশাপাশি, এই পরিস্থিতিতে আজ থেকে দোহার আরব লিগ ও ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) জরুরি সম্মেলন শুরু হয়েছে, যেখানে দেশের শীর্ষ নেতারা অংশগ্রহণ করেছেন।

এই সম্মেলনের লক্ষ্য হলো ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য একটি বৈধ প্রস্তাব তৈরি করা। এর আগে, বিভিন্ন আরব ও মুসলিম দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা বৈঠক করে এই পরিস্থিতির নিষ্পত্তির জন্য সাম্প্রতিক পদক্ষেপের পরিকল্পনা করেছেন।

কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল থানি ইসরায়েলি হামলাকে ব্যাপকভাবে নিন্দা জানিয়েছেন এবং আরব ও মুসলিম দেশগুলোর একতাকে কেন্দ্র করে বলেছেন, কাতারের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে।