বৃষ্টি থাকবে আরও এক সপ্তাহ: আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ২:৩১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৫ মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় থাকায় আগামী এক সপ্তাহের জন্য ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে একটি সক্রিয় লঘুচাপের কারণে দেশের বিভিন্ন অংশে এই বৃষ্টিপাতের প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকাসহ সারাদেশের বেশির ভাগ এলাকায় এই বৃষ্টির প্রভাব অব্যাহত থাকতে পারে। আবহাওয়া বিশ্লেষক কাজী জেবুন্নেছা বলেন, মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা এবং বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া এই লঘুচাপের কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারি বর্ষণ হতে পারে। তিনি আরও জানান, এই আবহাওয়া পরিস্থিতি আগামী ১৯ তারিখ পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে, এরপর ধীরে ধীরে আবহাওয়ার স্বাভাবিক পরিবর্তন দেখা যাবে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোথাও কোথাও বৃষ্টিপাত কম বা বাড়তে পারে, যা এখনও নিশ্চিত করে বলা যায় না। অবস্থা অনুযায়ী, পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকা থেকে এই লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশিচম দিকে সরে যাওয়ার পাশাপাশি বর্তমানে তেলেঙ্গা ও তার সংলগ্ন অঞ্চলের দিকে অবস্থান করছে। একই সঙ্গে মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের ওপর দিয়ে আসতে থাকায় বর্ষণ জোড়ালো হচ্ছে। আজ রোববার সকাল ৯টায় প্রকাশিত পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বেশির ভাগ জেলায় অস্থায়ী দমকা হাওয়া এবং হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি, এমনকি বজ্রসহ বর্ষণ হতে পারে। কিছু কিছু এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের আশংকা রয়েছে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকায় বাতাস বেশি সক্রিয় থাকবে, যেখানে দিক দক্ষিণ বা দক্ষিণপূর্ব থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে। ঢাকায় আজ সন্ধ্যায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯০ শতাংশ, এবং সূর্যাস্তের সময় হবে সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিট। আগামীকাল ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে সূর্যোদয় হবে। আবহাওয়া বিভাগ এও জানিয়েছে, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে চলতি সময়ে অতি ভারী বর্ষণের আশংকা থাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলে ভারী বা অতি ভারী বর্ষণের সম্ভবনা রয়েছে। বিশেষ করে, চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকাগুলিতে ভূমিধসের ঝুঁকি রয়েছে। আর ভারী বর্ষণের কারণে রাজধানী ও চট্টগ্রামের অনেক এলাকায় সাময়িক জলাবদ্ধতা দেখা দিতে পারে। গড়ে, ২৪ ঘণ্টায় ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলে তা মাঝারি বর্ষণ হিসেবে গণ্য হয়; ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিট্যার হলে ভারি বর্ষণ, ও ৮৮ মিলিমিটার ও তার বেশি হলে অতি ভারী বর্ষণ বলে ধরা হয়। আজকের দিকে, দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল পাবনার ইশ্বরদীতে, যেখানে পৌঁছেছিল ৩৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন ছিল সিলেটে, যেখানে ছিল ২৪.২ ডিগ্রি। পাশাপাশি, চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ ১২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। অন্যান্য ক্ষুদ্র স্থান যেমন রাঙামাটি, সন্দ্বীপ ও তেঁতুলিয়া যথাক্রমে যথাক্রমে ৮৭, ৮০ ও ৬৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের তথ্য প্রকাশ করেছে আবহাওয়া বিভাগ। SHARES জাতীয় বিষয়: