ভেড়ামারায় পদ্মা নদীতে ভাঙ্গন মারাত্মক আশংকা Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ২:৩৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫ কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় পদ্মা নদীর অবিরাম ভাঙ্গনে স্থানীয় পাইকারী চাষি, বসতবাড়ি আর প্রাচীন শ্মশানভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি কয়েকটি এলাকায় তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে, যার কারণে এলাকাবাসীর জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে। গত কয়েক দিনের ভাঙ্গনের ফলে উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের ফয়েজুল্লাপুর, হাটখোলাপাড়া ও বাহাদুরপুর ইউনিয়নের আড়কান্দি ও মাধবপুর এলাকার বিস্তীর্ণ কৃষিজমি, বসতভিটা এবং ঐতিহ্যবাহী শ্মশানঘাট নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ জন পান চাষি তাদের প্রায় ৩০০০ পান বরজের নদীগর্ভে হারিয়েছেন বলে জানা গেছে। এতে তাদের জীবিকা চরম ঝুঁকিতে পড়েছে। সম্প্রতি অনেক এলাকায় দেখা গেছে, পদ্মা নদীর পাদদেশের কয়েক কিলোমিটার এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গন চলছে। জুনিয়াদহ ইউনিয়নের ভাঙ্গন কবলিত এলাকাগুলোর কাছাকাছি থাকা নদীর রক্ষা বাঁধের দূরত্ব মাত্র ৫০ মিটারের কিছু বেশি। ভাঙ্গনের কারণে বসতবাড়িসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে, যা এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। ভাঙ্গন যদি দ্রুত সুরাহা না হয়, তবে পরিস্থিতি আরও মারাত্মক রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। বিশেষ করে বাহাদুরপুরের মাধবপুর অঞ্চলে ব্যাপক সংখ্যক প্রান্তিক চাষির পান বরজ নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় তাদের জীবনতচন আরও নিঃস্ব হয়ে গেছে। সম্প্রতি ভাঙ্গনের ফলে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ জন পান চাষির বিশাল পরিমাণ পান বরজ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এর পাশাপাশি এই অঞ্চলের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যবহৃত একমাত্র শ্মশানঘাটটিও নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। একজন কৃষক আমিরুল জানান, তার পরিবারের ৭ থেকে ৮ বিঘা জমির প্রায় ৮০০ পান বরজ নদীতে ডুবে গেছে। তাদের জন্য এখন সমস্ত কিছুই উর্ধ্বমুখী, তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে মেবির পন্ডিত, রেজাউল, জামশেদ, রাব্বি, রহমান, কাশেম, নুরা, নাসির, আনেজ, আজগর, আবু ও শেহাব সহ অনেক চাষির মতই অনেকের হ Basement হলো প্রায় ১০০ পিলি পান বরজ। আবুল আলী জানান, কিছু বছর আগে এই এলাকা আগুনে পুড়ে গিয়েছিল, আর এবার পদ্মা নদীই তাদের উপার্জনের একমাত্র উৎস পান বরজ গিলে নিয়েছে। এখন তারা খুবই অসহায় ও দিশেহারা। উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান জানিয়েছেন, তিনি এই ভাঙ্গনের খবর পেয়েছেন এবং শীঘ্রই ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যাবেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, নদীর পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙ্গন প্রতিরোধে কার্যক্রম শুরু করা হবে। তিনি আরও বলেছেন, অন্যান্য এলাকাতেও পর্যায়ক্রমে এই কাজ বাস্তবায়ন করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, পদ্মা নদীর ভাঙ্গনের বিষয়ে তারা অবগত এবং ক্ষতিগ্রস্ত পান চাষিদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। SHARES সারাদেশ বিষয়: