সুদমুক্ত ঋণের কার্যকর প্রয়োগের জন্য কঠোর উদ্যোগ নেবে সরকার

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ২:৩০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫

শ্রম ও কর্মসংস্থান, এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের জন্য সরকারের দ্বারা প্রদত্ত সুদমুক্ত ঋণ যদি সময়মতো ফেরত না দেয়া হয়, তবে সংশ্লিষ্ট শিল্প কারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বুধবার সচিবালয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।

অর্থ মন্ত্রণালয়, ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিরা, বিজিএমইএ সভাপতি এবং সংশ্লিষ্ট কারখানার মালিকরা এই সভায় উপস্থিত ছিলেন।

ড. সাখাওয়াত হোসেন উল্লেখ করেন, কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক শ্রমিকদের বকেয়া অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিচ্ছে। এ পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার বিভিন্ন বড় গ্রুপ—যেমন বার্ডস গ্রুপ, টিএনজেড গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, ডার্ড গ্রুপ, নায়াগ্রা টেক্সটাইলস, রোয়ার ফ্যাশন, মাহমুদ জিন্স, স্টাইল ক্রাফট, ও গোল্ডস্টার গার্মেন্টস—কে অর্থ বিভাগ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং কেন্দ্রীয় তহবিলের মাধ্যমে সুদমুক্ত ঋণ দিয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগই এই ঋণের অর্থ যথাসময়ে পরিশোধ করছেন না।

তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থান নেবে। পাসপোর্ট জব্দের মতো কঠোর পদক্ষেপও নেয়া হবে। ইতোমধ্যে পলাতক কিছু মালিকের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। মালিক ও উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশ দেয়া হয়েছে যাতে তারা আইনরক্ষা করতে পেরেছেন।

ড. সাখাওয়াত আরও বলেন, “এই ঋণের টাকাটাই শ্রমিকের পরিশ্রমের ফসল ও জনগণের ট্যাক্সের অর্থ। এ টাকা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। কোনো ধরনের ছাড় দেয়া হবে না।” তিনি মালিক ও ব্যাংকের প্রতিনিধিদের অনুরোধ করেন, জমি, কারখানা বা যন্ত্রপাতি বিক্রির মাধ্যমে হলেও এই সময়ের মধ্যে সব ঋণ পরিশোধ করা নিশ্চিত করতে।

বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ কে এই ক্ষেত্রে মধ্যস্থতাকারীর দায়িত্ব নিতে আহ্বান জানান তিনি। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা, পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এই সভায় উপস্থিত ছিলেন।