খালেদা জিয়ার কারামুক্তি দিবস আজ Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ২:৩০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫ অভিবাদন গণতন্ত্রের মা। আজ বাংলাদেশের প্রিয় নেত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসন ও ত্রিবারের সফল প্রধানমন্ত্রীর খালেদা জিয়ার ১৮তম কারামুক্তি দিবস। ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তৎকালীন সেনাসমর্থিত সরকারের নির্দেশে ক্যান্টনমেন্টের মইনুল রোডের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই সঙ্গে তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে অত্যন্ত নির্মমভাবে আটক করা হয়। পরবর্তীতে ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আদালতের নির্দেশে তিনি সংসদ ভবনের বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি পান। এই দিনটিকে আমরা সাধারণত খালেদা জিয়ার মুক্তির দিন হিসেবে পালন করি। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী এক-এগারোর সরকার নানা ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করেছিল। তবে জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন ও আস্থার কারণে এই ষড়যন্ত্রগুলো ব্যর্থ হয়ে যায় এবং অবশেষে তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় সরকার। এর আগে, ২০০৭ সালের ৭ মার্চ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, সেটিও ছিল এক অপ্রত্যাশিত ও অপ্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। কোনো পরোয়ানা বা নির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই, জরুরি বিধিমালার মাধ্যমে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নির্মম হত্যার পর, জাতীয়তাবাদী রাজনীতিকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়। কিন্তু খালেদা জিয়া এবং তার নেতৃত্বের মাধ্যমে জনগণের আত্মবিশ্বাস ও আন্দোলনের শক্তি জোরদার হয়। তিনি পাকিস্তানি শাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ নয় বছরের সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে স্বৈরাচার এরশাদের পতন ঘটান এবং বাংলাদেশের সাংবিধানিক গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। এই দৃঢ়তা, দেশপ্রেম ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের জন্য তিনি দেশের মানুষের কাছে একজন অমূল্য নেত্রী হিসেবে স্বীকৃত। বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্র, স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অবিচল সংকল্পবদ্ধ। তিনি কোনো চক্রান্ত বা বাধা তাকে দমাতে পারেনি। ২০০৭ সালে সেনাবাহিনীর সমর্থনে কড়া দমন-পীড়নের মুখে তিনি বিদেশে যাননি। বরং, দেশেই থেকে আওয়ামীলীগের বিরোধী আন্দোলন চালিয়ে গেছেন। ২০১৮ সালে, আদালত তাকে ভুলে সাজানো একটি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়, যা থেকে তিনি এখন মুক্ত। এই দীর্ঘ সময় কারাগারে থাকার পরও, তিনি দেশের জন্য অজস্র প্রেরণা হয়ে থাকেন। তার ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোও দেশের জন্য বিভিন্ন অত্যাচার ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। ২০০৭ সালে সেনাসমর্থিত সরকারের শাসনামলে, তাদের উপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়। আরাফাত রহমান কোকো ২০১৫ সালে মালয়েশিয়ায় মারা যান, তার চিরবিদায়ে পুরো দেশ শোকস্তব্ধ হয়। তার বাবার রাজনীতি ও পরিবারের প্রতি দেশের মানুষের গভীর ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছে সেই শোকাজড়িত শোকপ্রকাশে। তারেক রহমান, জিয়া পরিবারের অন্যতম ওপরতলা নেতা, দীর্ঘ ১৮ মাস কারাগারে ছিলেন। পরবর্তীতে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান। এখানে বসে তিনি দলের নেতৃত্ব সামলে গেছেন, শক্তিশালী করেছেন বিএনপিকে, এবং ভবিষ্যতের জন্য আশার আলো দেখিয়েছেন। প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও, তার নেতৃত্বে দল আজ অনেক অনেক শক্তিশালী এবং আগামী নির্বাচনে বিজয় বা প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। সংক্ষেপে, আজকের এই দিন আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, গণতন্ত্রের এই সংগ্রামী নেত্রীর দৃষ্টান্ত ও দেশপ্রেমের ইতিহাস। তার এই সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের জন্য আমরা গভীর শ্রদ্ধা জানাই। দেশের জন্য তার লড়াই অব্যাহত থাকুক, আমরা অঙ্গীকার করি গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য তার আশির্বাদে চলব। SHARES জাতীয় বিষয়: