বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে চীনের সহযোগিতা প্রয়োজন

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ২:৩৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের দক্ষতা ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য চীনের সহায়তা চেয়েছেন। সোমবার ঢাকায় চীনা দূতাবাসে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনা শান্তিপূর্ণ ও ফলপ্রসুভাবে চলে। এতে তিনি বলেন, ২০২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের মোট পরিমাণ ছিল ১৭.৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যার মধ্যে বাংলাদেশের আমদানি ছিল ১৬.৬৪ বিলিয়ন আর রপ্তানি ৭১৫.৩৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তাসকীন আহমেদ আরো বলেন, বাংলাদেশের টেকসই সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে এবং এলডিসি (কৃষ্ণসাগর ও দক্ষিণ এশীয় এলডিসি) থেকে উত্তরণের সুবিধা কাজে লাগাতে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ। তিনি উল্লেখ করেন, চীন বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় আমদানিকারক দেশ। দেশের বিভিন্ন খাত যেমন–অবকাঠামো, জ্বালানি, বিদ্যুৎ, শিক্ষা, মানব সম্পদ উন্নয়ন, কৃষি, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, তথ্যপ্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, অটোমোবাইল, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও স্বাস্থসেবা, সেমিকন্ডাক্টর, জাহাজ নির্মাণসহ নানা ক্ষেত্রে চীনের সমর্থন প্রয়োজন। এজন্য তিনি তরুণ উদ্যোক্তাদের দক্ষতা ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধির ব্যাপারে চিনের সহযোগিতা কামনা করেন। অন্যদিকে, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত চীনের ২০টিরও বেশি নতুন পোশাক ও টেক্সটাইল কোম্পানি বাংলাদেশে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। যদি এ বিনিয়োগ বাস্তবায়িত হয়, তবে বাংলাদেশের রপ্তানি আরও বৃদ্ধি পাবে। তিনি আরও জানান, চীনা গাড়ি ও বিদ্যুৎ চালিত যানবাহনের ব্যবসায় বাংলাদেশের জন্য বিনিয়োগের আগ্রহ রয়েছে, তবে উচ্চ শুল্ক ও নীতিমালা না থাকার কারণে এইখাতের বিনিয়োগে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, বাংলাদেশ সরকার এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে এবং সংশ্লিষ্ট নীতিমালা আধুনিকীকরণে উদ্যোগী হবে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ৮৫ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে যা দীর্ঘমেয়াদে টেকসই নয়। এজন্য দেশের অন্য সম্ভাবনাময় খাতগুলোতেও রপ্তানি বাড়াতে এবং পণ্যের বহুমুখীকরণে গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি, বাংলাদেশের উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধিতে চীনের প্রযুক্তিগত সহায়তা নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।