ব্যাপক লেনদেনের রেকর্ড ডিএসইতে

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ২:৩৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫

দেশের শেয়ারবাজারে চলমান লেনদেনের ঘনঘটা অব্যাহত রয়েছে। কয়েক কার্যদিবস ধরে ধারাবাহিকভাবে হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হচ্ছে, যা বাজারের ধারনার চাকা ফের সচল করেছে। প্রতিদিনের মতো রোববারও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সেই রেকর্ড পাল্টে ১,৪০০ কোটি টাকারও বেশি লেনদেন হয়েছে। এই উল্লেখযোগ্য উন্নতি চলতি বছরের প্রথমবারের মতো, যখন এক দিনেই এত বেশি পরিমাণে লেনদেন হয়। এর আগে গত বছরের ১১ আগস্টের পর এই রকম উচ্চতর লেনদেনের নজির আর দেখা যায়নি।

লেনদেনের পরিমাণ ও গতি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ডিএসইত দামের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাও দেখা গেছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ছে, আর প্রধান মূল্যসূচকও বাড়তে থাকছে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় অনেক শেয়ার এবং ইউনিটের নাম উঠে এসেছে। সপ্তাহের শেষে ডিএসইতে সব খাতের মধ্যে পজিটিভ ট্রেন্ড দেখা গেছে, যেখানে ২৪৮ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১২৭টির, আর ২৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২১ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে এখন ৫,০৬৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এর পাশাপাশি, ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে ২,১৮৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আর শরিয়াহ সূচক সামান্য ০.৬১ পয়েন্ট বেড়ে ১,২৯৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সবকটিরই মূল্য সূচক বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারের সামগ্রিক পরিস্থিতি ইতিবাচক বলে মনে করা হচ্ছে।

একই সময়ে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। সপ্তাহের শেষ দিন মোট লেনদেন হয়েছে প্রায় ১,৪৪১ কোটি ৯০ লাখ টাকা, যা আগের কার্যদিবসের তুলনায় ১০৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা বেশি। এই দিন ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক দিনে এত বেশি পরিমাণে লেনদেনের রেকর্ড তৈরি হয়। গত বছরের ১১ আগস্টের পর এই রেকর্ডটি দাঁড়িয়েছে। তখন লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ২,১০ কোটি টাকা।

সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে রবি কোম্পানির শেয়ারে, যেখানে ৩৭ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার ট্রেড হয়। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার, যেখানে ৩৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের শেয়ার, যার লেনদেনের পরিমাণ ৩৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) বাজারের প্রবৃদ্ধি চোখে পড়ার মতো। এখানে সার্বিক মূল্যসূচক কেবল বেড়ে গেছে ২২ পয়েন্ট। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৫৫ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৪৩টির দাম বেড়েছে, অন্যদিকে ৮৬টির দাম কমে গেছে এবং ২৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মোট লেনদেন হয়েছে প্রায় ১৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে বেশি।