মহানবী (সা.)-এর অনুপম জীবনাদর্শ বিশ্বে শান্তি ও কল্যাণ আনতে পারে

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ২:৩৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৫

প্রখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী ও সমাজসেবক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনের অনুপম আদর্শ, সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহ অনুসরণ আজকের বিশ্বে যা দ্বন্দ্ব, সংঘাত ও অস্থিরতা সরিয়ে শান্তি, ন্যায় ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে। তিনি এ কথা বলেন পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.)-এর স্মরণে আজ শুক্রবার এক বাণীতে। ড. ইউনূস বলেন, ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী (সা.)-এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ হলো বিশ্ববাসীর জন্য এক অনুকরণীয় দিশা, যা অনুসরণ করে আমরা শান্তি, সফলতা এবং অবিরাম কল্যাণ লাভ করতে পারব। উল্লেখ্য, হিজরি ১২ই রজব আজকের দিনটি মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের পবিত্র স্মৃতি বিজড়িত, যা বিশ্বের মুসলমানদের জন্য এক পবিত্র ও মাহাত্ম্য পূর্ণ দিন। এ উপলক্ষে ড. ইউনূস নিজে সঙ্গে সঙ্গে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানান দেশের সকল ধর্মপ্রাণ মানুষ, মুসলিম উম্মাহকে। তিনি বলেন, মহানবী (সা.) ছিলেন ‘রাহমাতুল্লিল আলামিন’, অর্থাৎ সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য রহমত। আল্লাহ তাআলা তাঁকে পাঠিয়েছেন মানবজাতির জন্য হেদায়েত ও মুক্তির বার্তা নিয়ে। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘হে নবী, আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য রহমত হিসেবে পাঠিয়েছি’ (সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত ১০৭)। তিনি দুনিয়ায় এসেছিলেন ‘সিরাজাম মনিরা’ অর্থাৎ আলোর প্রদীপ হয়ে, মানুষের অন্ধকার কুসংস্কার, অ্যান্যায়, অবিচার, দাসত্ব ও পাপাচার থেকে মুক্তি দিতে ও শান্তি, প্রগতি ও কল্যাণের পথে এগিয়ে নিয়ে যান। ড. ইউনূস বলেন, ‘আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য, অনুপম চরিত্র ও মহৎ গুণাবলী জন্য মহানবী (সা.)-র জীবনকে বলা হয় ‘উসওয়াতুন হাসানাহ্’, অর্থাৎ সুন্দরতম জীবনাচরণ। তিনি বিশ্ব মানবতার জন্য রেখে গেছেন অমূল্য শিক্ষা ও আদর্শ, যা প্রত্যেক যুগ ও সময়ের জন্য পথপ্রদর্শক। এর মধ্যে রয়েছে শান্তি, স্নেহ ও মানবতা, যা অনুসরণ করে আমাদের জীবন আলোকময় ও সফল হয়ে উঠবে। তিনি আরও বলেন, পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) সকলের মাঝে শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনুক। তিনি আশা করেন, এই পবিত্র দিনটি যেন মুসলিম উম্মাহর ঐক্য আবারও দৃঢ় করে এবং মহানবীর জীবনাদর্শ অনুসরণ করে আমাদের দেহ ও মন উভয়ের কল্যাণ ঘটে। তিনি শেষে প্রার্থনা করেন, যেন এই দিক নির্দেশনাই আমাদের জীবনের মূল সারথি হয়ে উঠে এবং সার্বিক শান্তিপূর্ণ ও সফল সমাজ গড়ে ওঠে।