গাজায় অনাহার ও খাদ্য সংকটে ৩৭০ ফিলিস্তিনির মৃত্যু Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ২:৪২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৫ গাজায় ভয়াবহ অনাহার ও তীব্র খাদ্য সংকটে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৭০ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে, যার মধ্যে ১৩১ জনই শিশু। হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। বছর ২০২৩ এর অক্টোবরে গাজায় হামাসের পক্ষ থেকে আকস্মিকভাবে হামলা চালানো হয় এবং এর পর থেকে ইসরায়েল গাজায় বিপর্যস্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। চলমান সংঘাতের মধ্যে পরিস্থিতি দিন দিন worsening হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, যা কোনোভাবেই সাধারণ মানুষজনের জন্য সহনীয় নয়। Some medical sources have informed আল জাজিরাকে, বৃহস্পতিবার ভোরে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় কমপক্ষে ৩১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, এর মধ্যে গাজা সিটি দিয়ে ১৯ জন। এছাড়া আরও চারজন ত্রাণ সংগ্রহের সময় ইসরায়েলের গুলিতে প্রাণ হারান। হামাস জানিয়েছে, তারা গাজার একটি স্বাধীন জাতীয় প্রশাসন গঠনের জন্য প্রস্তুত, যার মাধ্যমে তারা একটি ব্যাপক যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য আলোচনা চালাচ্ছে। এই চুক্তির মাধ্যমে সব ইসরায়েলি বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে ইসরায়েল এই ধরনের কোনো চুক্তিকে প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, তার মন্ত্রিসভা নির্ধারিত শর্ত অনুযায়ী এখনই যুদ্ধ শেষ করা সম্ভব নয়। অতিরিক্তভাবে, ইসরায়েলের অতি-ডানপন্থি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ পশ্চিম তীরের বেশ কিছু অংশ ইসরায়েলি দখলে নিয়ে তার সংযুক্তির পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন এবং নেতানিয়াহুর অনুমোদনের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। ২০২৩ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া যুদ্ধের প্রভাবে গাজায় এখন পর্যন্ত আতঙ্কে থাকছে হাজারো মানুষ। এই সংঘর্ষে কমপক্ষে ৬৩ হাজার ৭৪৬ জন নিহত এবং ১ লাখ ৬১ হাজার ২৪৫ জন আহত হয়েছেন। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হয় এবং প্রায় ২০০ জনকে বন্দি করে নেওয়া হয়। গাজার শিশু ও প্রতিবন্ধীরা বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। জাতিসংঘের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সংক্রান্ত কমিটি জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২১ হাজার শিশু প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সেনাবাহিনীর আক্রমণের সময় অনেক অসুবিধাবিশেষে থাকা ব্যক্তিরা সরে যেতে পারেনি। বিশেষ করে, দৃষ্টি বা শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা তাদের সহায়তা নিতে পারেনি, যার কারণে অনেকের জীবন ঝুঁকিতে পড়েছে। এছাড়া, সহায়তার অভাবে অনেকেই চলাচলে অসুবিধা কাজে বাধা পেয়েছেন। মানবিক সহায়তা আনার কঠোর বিধিনিষেধ ও অবরুদ্ধ গাজায় এর প্রভাব অপ্রত্যাশিত। অনেক প্রতিবন্ধীর জন্য খাদ্য, বিশুদ্ধ জল ও স্যানিটেশন পরিষেবা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে, জোর করে পালিয়ে যাওয়ার জন্য তাঁদের জন্য পরিস্থিতি হয়েছে মারাত্মক। অপরদিকে, ইসরায়েলে দীর্ঘ ২৩ মাস ধরে অবরুদ্ধ গাজায় অমানবিক হামলা চালানো অব্যাহত রয়েছে। হামাসের উৎখাত ও জিম্মি মুক্তির নামে দখলদার বাহিনী বাধাহীনভাবে তাদের দমন-পীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। এই দখলনামা সংঘর্ষের জন্য গাজা কর্তৃপক্ষের ক্ষোভের সীমা নেই। বহু আন্তর্জাতিক মহল ইসরায়েলের এই নৃশংসতা নগণ্য বলে সমালোচনা করলেও, তারা কোনো রকম বাধা প্রদান করতে পারছে না। জাতিসংঘও এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ। এর মধ্যে, পশ্চিম তীরের কিছু অঞ্চল সম্পূর্ণরূপে ইসরায়েলের হাতে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা প্রকাশ পাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে, সংযুক্ত আরব আমিরাত কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে যে, ইসরায়েল যদি তাদের দখলদারিত্ব চালিয়ে যায়, তবে তাদের আব্রাহাম চুক্তি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে। ব্যাখ্যা করেছে, এই চুক্তি মূলত এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য হয়েছে, যেখানে ইসরায়েল এর দখলদারিত্ব বৃদ্ধিতে প্রভাব পড়বে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই মন্তব্যের মধ্যে রয়েছে, যে পশ্চিম তীরের অধিকাংশ অংশ ইসরায়েলি দখলে থাকলে, তা দ্বিরাষ্ট্রীয় স্বপ্নের পরিপন্থী হবে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এই অঞ্চলগুলোকে স্ব-সরকার বিকাশের অংশ মনে করে। ইসরায়েলের মধ্যস্থতায় ২০২০ সালে স্বাক্ষরিত আব্রাহাম চুক্তির আওতায়, আরব দেশগুলো—বাহরাইন, মরক্কো সহ—ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে, যেখানে পশ্চিম তীরের কিছু অংশ ইসরায়েলের সাথে সংযুক্ত করার পরিকল্পনাও প্রকাশ্যে এসেছে। SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: