লিটন দাসের নজরকাড়া পারফরম্যান্সে রেকর্ডের মালা, সাকিবের রেকর্ড ভেঙে মাহমুদউল্লাহর ছুঁলেন পাশে

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ২:৪০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৫

নেদারল্যান্ডসের সাথে সিরিজ শেষ হয়েছে বাংলাদেশ দলের জন্য বেশ সুখকর। এই সিরিজে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা অনেকই নিজেদের দক্ষতা ও ধারাবাহিকতা প্রমাণ করেছেন, তবে সবচেয়ে বেশিবার আলোচনায় ছিলেন লিটন দাস। তার ব্যাটে ঝলমলে পারফরম্যান্সের জন্য এই সিরিজের মূল হিরো তিনি। তার অসাধারণ পারফরম্যান্সের কারণে বাংলাদেশ সিরিজ জয় করতে সক্ষম হয়, আর তাই সিরিজের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারটি তাঁর হাতে উঠে এসেছে।

লিটন দাস এই সিরিজে নিজের ব্যাটিং দেখিয়েছেন নানা নতুন রেকর্ডের মালা। তিনি ভেঙে দিয়েছেন সাকিব আল হাসানের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ফিফটি কঠিন রেকর্ড, এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের আরও এক উচ্চতায় পৌঁছে গেছেন। প্রথমত, সিরিজের একেবারে শুরুতেই তিনি তিন ম্যাচে মোট ১৪৫ রান করে সিরিজের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। এই পারফরম্যান্সের ফলে তাকে লক্ষ্য করে বিশেষ নজর ছিল।

সাধারণত, লিটনের ফিফটির সংখ্যা ছিল ১২টি, কিন্তু এই সিরিজে প্রথম ও শেষ ম্যাচে তিনি এই সংখ্যা আরও বাড়িয়ে ১৪টি করে ফেলেছেন। ফলে তাঁর হাতে রয়েছে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি ফিফটির রেকর্ড। এই রেকর্ডের মালিক ছিলেন আগে সাকিব আল হাসান, যাঁর ফিফটির সংখ্যা ছিল ১৩। কিন্তু এখন লিটন এটি ছুঁয়ে ফেলেছেন এবং তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছেন।

অপরদিকে, শেষ ম্যাচে লিটন হাঁকিয়েছেন ৪টি ছক্কা। এই ছক্কাগুলির সঙ্গে আরও একটি রেকর্ড যুক্ত হলো—বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ছক্কার মালিক তিনি। তার ছক্কার সংখ্যা এখন ৩১, যা আগের রেকর্ডধারী মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সমান।

বাংলাদেশ এই সিরিজটি জিতেছে, যা আরও একবার প্রমাণ করে দলের সামগ্রিক পারফরম্যান্সের উন্নতি। আর লিটনের অধিনায়ক হিসেবে এটি তৃতীয় সিরিজ জয়, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অনন্য অর্জন। এমনটি আগে কেউ করেননি।

তবে, লিটনের বক্তব্যে এক ভিন্ন দিক পরিষ্কার। তিনি বলেন, ‘আমি কখনো রেকর্ডের জন্য খেলি না। যদি রেকর্ডের কথা ভাবতাম, বেশি ফিফটি মারার সুযোগ হাতছাড়া করতাম। আমি যদি শুধুই রেকর্ডের জন্য খেলতাম, হয়তো অনেক সময় শিরোনাম করতে পারতাম, কিন্তু আমি আমার המשחקের ওপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত রেখেছি।’ এর মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে যায়, এখনো তিনি ক্রিকেটের প্রতি তার মূল উদ্দেশ্য ও ভালোবাসা বজায় রেখেছেন।