বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে কমার্শিয়াল কোর্টের দরকার: ঢাকা চেম্বার Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ২:৩৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৫ ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেছেন, বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও ব্যবসায়িক পরিবেশের উন্নতির জন্য একটি বিশেষ প্রয়োজন হচ্ছে কমার্শিয়াল কোর্ট স্থাপন। তিনি আরও বলেন, আইনি প্রক্রিয়া সহজ এবং দ্রুত করার জন্য অভিজ্ঞ বিচারকদের নিয়োগের পাশাপাশি আইনি সিস্টেমের ব্যাপক সংস্কার জরুরি। বললেন, বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তির দীর্ঘসূত্রিতা দেশে বিদেশি বিনিয়োগে বাধা সৃষ্টি করছে। এর পাশাপাশি, দেশের অর্থনৈতিক কার্যকলাপের সঙ্গে সঙ্গে বিনিয়োগ, চুক্তি ও মেধাস্বত্বের বিরোধও দিন দিন বাড়ছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একটি আলাদা কমার্শিয়াল কোর্ট স্থাপন ও আইনি প্রক্রিয়া সংস্কার অপরিহার্য বলে তিনি অারো উল্লেখ করেন। মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিলের ডিসিসিআই অডিটরিয়ামে আয়োজিত ‘ব্যবসায় বিরোধ নিষ্পত্তি ও চুক্তি প্রয়োগের অগ্রগতি’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুর রহিম খান ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। মাহবুবুর রহমান জানান, জনসংখ্যা বেশি হওয়ায় মামলার সংখ্যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে যা বিচার প্রক্রিয়াকে দীর্ঘায়িত করছে, ফলে স্থানীয় ও বৈদেশিক বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, ২০০১ সালে আরবিট্রেশন আইন সংস্কার হলেও বাণিজ্যিক বিরোধের দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য এখনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, কমার্শিয়াল কোর্টের কার্যক্রম দ্রুত চূড়ান্ত হবে এবং বিশেষজ্ঞ বিচারকদের নিয়োগের মাধ্যমে আইনি প্রক্রিয়া আরও উন্নত হবে। বাংলাদেশের জন্যে এই সংস্কার গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে করে বিচারব্যবস্থার ওপর চাপ কমবে এবং ব্যবসায়িক পরিবেশ আরও সুষ্ঠু হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি মাইকেল মিলার বলেন, বাংলাদেশ সরকার এখন আইনি সংস্কারকে গুরুত্ব দিচ্ছে এবং এ বিষয়ক কার্যক্রমে ইইউ সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এ পরিবর্তনশীল ব্যবস্থা দেশের মানুষের জীবন মান উন্নয়নে সহায়ক হবে। মো. আবদুর রহিম খান বলেন, দীর্ঘসূত্রিতা ও বিরোধ নিষ্পত্তির জটিলতার কারণে দেশীয় ও বৈদেশিক বিনিয়োগ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যা দেশের রপ্তানি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এ সেমিনারে ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, যেখানে তিনি উল্লেখ করেন ব্যবসায়িক চুক্তির প্রয়োগের ক্ষেত্রে আমাদের পিছিয়ে থাকার বিষয়টি। সভায় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক মো. আরিফুল হক, ইউএনডিপি বাংলাদেশ প্রতিনিধি সোনালী দা রত্নে, বিয়াকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কে এ এম মাজেদুর রহমান, সিঙ্গাপুর ভিত্তিক রাজাহ অ্যান্ড থান-এর কো-হেড ভিকনা রাজা ও বিচারপতি তারেক মোয়াজ্জেম হোসেনসহ অন্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, বাণিজ্য বিরোধ নিরসনে সরকারের আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়ের অভাব রয়েছে, যা না হলে দেশের বিনিয়োগ ও ব্যবসায়িক পরিবেশ আরও দুর্বল হবে। তিনি আরও জানান, আদালতের পরিবর্তে আরবিট্রেশন সেন্টার ব্যবহারে বেশি মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই’র সহ-সভাপতি মো. সালিম সোলায়মান ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের উপস্থিত ছিলেন। SHARES অর্থনীতি বিষয়: