ব্যাংকখাতে সংস্কার ফলে অর্থপাচার কিছুটা কমেছে, জানালেন টিআইবি Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ২:৩৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৫ ব্যাংক খাতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের মাধ্যমে ঢালাও অর্থপাচার কিছুটা হলেও বন্ধ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এই অনুষ্ঠানে টিআইর আন্তর্জাতিক পরিচালনা পর্ষদোর চেয়ারপারসন ফ্রাঁসোয়া ভ্যালেরিয়াঁর বাংলাদেশ সফর উপলক্ষে আয়োজন করা হয়। তিনদিনের এই সফরে তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন।অর্থপাচার কমেছে কি না জানতে চাইলে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কিছুটা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ব্যাংক খাত ছিল অর্থপাচারের অন্যতম ক্ষেত্র। এর মধ্যে কিছু সংস্কার হয়েছে, যার ফলে আগে বিশাল পরিমাণ অর্থ জালিয়াতি বা অনিয়মের মাধ্যমেই পার হয়তো, তা এখন নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। যারা এই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের অনেককেই বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছে বা দেশের বাইরে অবস্থান করছে। সেই সব জড়িতদের কার্যক্রম অনেকটাই বন্ধ হয়ে গেছে, বলা যায়। তবে নতুন অ্যাকাউন্ট বা অ্যাক্টর তৈরি এখনও সম্পূর্ণ বন্ধ হয়নি বা হচ্ছেও না, এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয়।তিনি আরও জানান, ব্যাংক খাতে আরও অনেক উন্নত সংস্কার প্রয়োজন। ইতোমধ্যে বেশ কিছু মৌলিক পরিবর্তন ও সংযোজন হয়েছে, যা বিশাল অঙ্কের অর্থপাচার প্রতিরোধের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তিনি এও বলেন, অর্থপাচার থেকে আগের তুলনায় কম অর্থ যেতে শুরু করেছে, কিন্তু এর জন্য আরও প্রচেষ্টা ও অর্থ ব্যয় করতে হবে। প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের মাধ্যমে অর্থপাচার হতে পারে, যেখানে সাধারণত ব্যাংক চ্যানেলের বদলে হুন্ডি ব্যবহৃত হতো। তবে এখন সেটাও বেশিরভাগ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আবার, চালান জালিয়াতি বা মিস ইনভয়েসিং পদ্ধতিতে অর্থপাচার রোধেও অগ্রগতি হচ্ছে। তবে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ এখনো নিশ্চিত নয়। দুদক ও সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে অর্থপাচার নিয়ন্ত্রণ আরও সুদৃঢ় হবে বলে মনে করেন ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি এ সময় বলেন, অর্থপাচার রোধে অগ্রাধিকার দিতে হবে।সংবাদ সম্মেলনে ফ্রাঁসোয়া ভ্যালেরিয়াঁর বলেন, সাংবাদিকরা না থাকলে গণতন্ত্র থাকত না, আর গণতন্ত্রের বিকাশে ক্ষমতার অপব্যবহার রোধই সবচেয়ে কঠিন কাজ। তিনি আরও বলেন, আমি গত বছর থেকেই ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন closely অনুসরণ করছি—যেখানে তরুণ, নারী ও শ্রমজীবী সাধারণ মানুষ দুর্নীতিবাজ স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে। তিনি উল্লেখ করেন, যখন গোটা বিশ্বে স্বৈরতন্ত্রের উত্থান হচ্ছে, তখন বাংলাদেশের মানুষ দেখিয়েছেন অন্যরকম এক দৃষ্টান্ত। এই কারণে বৈশ্বিক নাগরিক সমাজ বাংলাদেশে সম্মান দেখছে। দেশটিতে বিভিন্ন সংস্কার কর্মসূচি চলছে—সংস্কার কমিশন, ঐকমত্য কমিশন এবং অন্যান্য পদক্ষেপ, যেগুলোর বেশিরভাগই টিআইএর সুপারিশে অন্তর্ভুক্ত। এই সংস্কারগুলো টেকসই করতে হবে বলে তিনি আস্থাপন্ন। সরকারের কাছে এখন মানুষ প্রত্যাশা করছে দুর্নীতির অবসান দ্রুত 이루বে। এ সময় প্রশ্ন উঠতে পারে, এই সব পরিবর্তনের ফলে টিআইএর কার্যক্রম ও প্রাসঙ্গিকতা কি কমে যাচ্ছে? এর উত্তরে তিনি বলেন, না, মোটেও না। দুর্নীতি এখনও বাংলাদেশে প্রকট, যেমনটা পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে দেখা যায়। যেখানে ক্ষমতা আছে, সেখানে অপব্যবহার ও লোভ সংঘটিত হয়, তাই এই কাজের অবসান কখনোই হয় না। SHARES অর্থনীতি বিষয়: