বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য ‘কমার্শিয়াল কোর্ট’ প্রতিষ্ঠার আহ্বান ঢাকা চেম্বার থেকে Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ২:৩৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৫ ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এণ্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেছেন, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে একান্ত প্রয়োজন একটি স্বচ্ছ এবং দ্রুতগতির ‘কমার্শিয়াল কোর্ট’ প্রতিষ্ঠা এবং আইনি প্রক্রিয়ার সংস্কার। তিনি জানান, বাণিজ্য বিরোধের দীর্ঘসূত্রিতা বিদেশি বিনিয়োগের পথের বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া, দেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিস্তার ও গতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তি, বিনিয়োগ এবং মেধা সম্পত্তি বিষয়ক বিরোধের সংখ্যাও ক্রমাগত বেড়ে চলেছে, যা ব্যবসা ও বিনিয়োগের স্বস্তি নষ্ট করছে। এই পরিস্থিতিতে, দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার জন্য একটি আলাদা কমার্শিয়াল কোর্ট প্রতিষ্ঠা জরুরি হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার রাজধানীর মিতিঝিলে ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘ব্যবসায় বিরোধ নিষ্পত্তি ও চুক্তি প্রয়োগের অগ্রগতি’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান, যিনি বলেন, জনসংখ্যা বেশি এদেশে আদালতেও মামলার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, ফলে বিচার ব্যবস্থা দীর্ঘসূত্রতা অসহনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি বাণিজ্য ও বৈদেশিক বিনিয়োগে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন ২০০১ সালে আরবিট্রেশন আইন কার্যকর হলেও, সেই আইন প্রয়োগে এখনো পুরোপুরি সাফল্য আসেনি। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, কমার্শিয়াল কোর্টের কার্যক্রম দ্রুতই চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাবে এবং এতে বিশেষজ্ঞ বিচারকদের নিয়োগ ও আইনি সংস্কার অগ্রাধিকার পাবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার আরও বলেছেন, আইনি প্রক্রিয়ার সংস্কারে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ইইউ কাছ থেকে সমন্বিতভাবে কাজ করছে, যা দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুর রহিম খান উল্লেখ করেন, দীর্ঘ সময় ধরে বিচারবিভাগের দীর্ঘসূত্রিতা বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, ২০০১ সালে আরবিট্রেশন আইন করলেও, এখনো এর প্রভাব স্বল্প। এখনই যদি নীতিমালা ও আইনি প্রক্রিয়ার সংস্কার না হয়, তাহলে দেশের বাণিজ্যিক অঙ্গনে নেতিবাচক প্রভাব আরও বাড়বে। তাঁর মতে, প্রতিরক্ষা ও উদারীকরণে এই আইন দ্রুত বাস্তবায়ন জরুরি। ঢাকা চেম্বার সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার উন্নত ব্যবসায়িক চুক্তি ও বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য নীতিমালা প্রণয়নে সমন্বিত উদ্যোগের অভাবের কথা উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), ইউএনডিপি, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন সেন্টার (বিয়াক), দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশ নেন। সাবেক সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, বিরোধ নিষ্পত্তিতে সরকারের আন্তঃমন্ত্রণালয়ীয় সমন্বয় পর্যাপ্ত নয়, যা আরও উন্নত হলে বিনিয়োগকারীর আস্থা বাড়বে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আদালতের পরিবর্তে আরবিট্রেশন সেন্টার ব্যবহার করে বিরোধ সমাধানে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই সহ-সভাপতি মো. সালিম সোলায়মান এবং সংশ্লিষ্ট খাতের অন্যান্য স্টেকহোল্ডাররা উপস্থিত ছিলেন। SHARES অর্থনীতি বিষয়: