বাংলাদেশে নতুন ‘মাইনাস-টু ফর্মুলা’ চালু: মির্জা আব্বাসের অভিযোগ Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ২:৩৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৬, ২০২৫ বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগ পলিটিক্যাল অঙ্গন থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে কিনা তা না দেখেই, দেশের মূল রাজনৈতিক শক্তিগুলিকে অচল করে দিতে দিচ্ছে একটি নতুন ‘মাইনাস-টু ফর্মুলা’. তিনি বলছেন, দেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহলের প্ররোচনায় এ ধরনের ষড়যন্ত্র সক্রিয় হয়েছে। আব্বাস দাবি করেন, কিছু রাজনৈতিক দল অজুহাতে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে নিয়ে যেতে চাচ্ছে, যা দেশের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি। তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে নির্বাচন না হয়, তাহলে দেশের জন্য বড় ধরনের মূল্য দায়ী হবে। তিনি আরও বলেন, এখনকার রাজনীতিতে একটি নতুন ‘মাইনাস-টু ফর্মুলা’ চালু হয়েছে, যা ১/১১ সময়কার সেই একই রূপ। তবে এবার এর প্রয়োগ হচ্ছে ভিন্ন আঙ্গিকে, যেখানে দেশের বাইরে থাকা ক্ষমতাধর গোষ্ঠী ও দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা এই অপচেষ্টায় লিপ্ত। আব্বাসের ভাষায়, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি সংগঠিত প্রচার চলছে, যাতে বিএনপিকে দুর্বল বা অবিশ্বস্ত মনে করতে চায় কিছু শক্তি। তিনি অভিযোগ করেন, এখনো দেশের ভেতরে কিছু আওয়ামীপন্থি প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ ও রাজনৈতিক গোষ্ঠী সক্রিয়ভাবে বিএনপিকে দুর্বল করার জন্য কাজ করছে। তারা বিশ্বাস করে, বিএনপিকে অপসারণ করতে পারলে ক্ষমতা নিজেরা পেয়ে যাবেন। তিনি আরও বলেন, যারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল রাখতে চান, তারাই নতুন করে এই ‘মাইনাস-টু ফর্মুলা’ চালু করার চেষ্টা করছে। একসময় এর প্রয়োগ সেনাসমর্থিত সরকারের মাধ্যমে হয়েছিল, এখন সেটি ক্ষমতার বাইরে থাকায় কৌশল পরিবর্তন করে ভিন্ন আঙ্গিকে চালানো হচ্ছে। এর পেছনে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা সক্রিয়। আব্বাসের মতে, এই সব ষড়যন্ত্রের মূল লক্ষ্য, বিএনপিকে দুর্বল বা সরিয়ে দিয়ে দেশের রাজনীতিকে নিজের স্বার্থে নিয়ন্ত্রণ করা। তিনি অভিযোগ করেন, অনেক আওয়ামী লীগ সমর্থক ও আমলা এই ষড়যন্ত্রে সক্রিয়, কারণ তারা মনে করেন, বিএনপিকে দমন করলে তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ পূরণ হবে। এমনকি কিছু রাজনৈতিক দলও এই পরিকল্পনার সঙ্গে সঙ্গেই আছে, যারা মনে করে, বিএনপি এখন সেই অভ্যাসেই যাচ্ছে যা আগে আওয়ামী লীগ করত। বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, বিভিন্ন ইস্যুতে ইসলামী দলের মতো কিছু রাজনৈতিক শক্তি সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে, যাতে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পথ রুদ্ধ হয়। তিনি ঘোষণা করেন, এই পরিস্থিতিতে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার জন্য যেভাবে লড়াই করেছিলেন, দেশের মাটি অন্যের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য নয়। তিনি বলেন, বিদেশির সঙ্গে আলোচনা ও বর্তমান ‘মাইনাস-টু’ পরিকল্পনা একই সূত্রে গাঁথা, আলাদা কিছু নয়। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি ব্যাপক জনপ্রিয় থাকায় কিছু মহল ধ্বংসাত্মক মনোভাব দেখাচ্ছে। তবে তিনি বিশ্বাস করেন, সাধারণ মানুষ বিএনপিকে ভালোবাসে এবং মিথ্যা প্রচার এ বিশ্বাসকে ক্ষুণ্ণ করতে পারবে না। আব্বাস বলছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন সুনিশ্চিত করতে হলে প্রশাসনের থেকে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সরানো জরুরি। তিনি জানান, বিএনপি সাংগঠনিকভাবে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত এবং ফেব্রুয়ারিতে ভোটের জন্য অপেক্ষা করছে। প্রতিশ্রুত জোটের ব্যাপারে প্রশ্নে তিনি বলেন, নির্বাচন তফসিল ঘোষণার পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে তার ধারণা, কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচন বানচালের জন্য অস্থিরতা সৃষ্টি করছে, যা দেশের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে। অধ্যাপক ইউনূসের ফেব্রুয়ারিতে ভোটের ঘোষণা ও তার প্রতি আস্থা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, নির্বাচন সঠিক সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। খালেদা জিয়া নির্বাচনের ব্যাপারে কি করবেন, এ প্রশ্নে আব্বাস বলেন, তিনি নিজের শারীরিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করেই সিদ্ধান্ত নেবেন, এখনো এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে খালেদা জিয়ার ভূমিকাও নির্ভর করবে তার সময়ের ব্যবধানে। ইসলামী দলগুলোর জোট গঠনের পরিকল্পনা সর্ম্পকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, বিএনপি এর ব্যাপারে চিন্তিত নয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনসংখ্যা অস্থিরতার দিকে না গিয়ে গণতান্ত্রিক, মধ্যপন্থি ও উদারপন্থি দলকেই পছন্দ করে। SHARES রাজনীতি বিষয়: