বৈঠকের আগে জেলেনস্কিকে কঠোর বার্তা দিলেন ট্রাম্প Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ২:৪৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২০, ২০২৫ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উল্লেখ করেছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি চাইলে তিনি তার দেশের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করতে পারেন। তবে এর জন্য অবশ্যই তাকে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অঞ্চল পুনরুদ্ধার করার আশা হারাতে হবে এবং ন্যাটোতে যোগদানের প্রশ্নে ছাড় দিতে হবে। এই কথাগুলো তিনি হোয়াইট হাউসের বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা আগে, একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রকাশ করেছেন। ট্রাম্প তাঁর মতবি বলছেন, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নিজেদের স্বার্থে এই শর্তগুলো মেনে নিতে হবে। গত রোববার রাতে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোয্যালে এই বিষয়ে তিনি পোস্ট দেন। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া অঞ্চল দখল করে নেয়ার আগে, ইউক্রেনের কাছ থেকে এই অঞ্চল মস্কো অধিগ্রহণ করে। তার আগে, গত শুক্রবার আলাস্কায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্প ইউক্রেনে স্থায়ী যুদ্ধ বিরতির আহ্বান জানিয়ে শান্তিচুক্তির জন্য মনোযোগ দেন। এদিকে, ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের জন্য রোববার রাতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন। তিনি তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আবারও যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের আহ্বান জানান। এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে হোয়াইট হাউসে, এবং এটি তাদের মধ্যে প্রথম বৈঠক নয়। এর আগে, চলতি বছরের শুরুর দিকে তাদের মধ্যে উত্তপ্ত বিতণ্ডা হয়েছিল। এবার জেলেনস্কির সঙ্গে আরও উপস্থিত থাকছেন তার ইউরোপীয় মিত্ররা, যেমন ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারসহ আরও কর্মকর্তারা। পূর্ববর্তী দিনগুলোতে, প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে আলাস্কায় আলোচনার দুদিন পরে, জেলেনস্কির সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনা হতে যাচ্ছে ট্রাম্পের। কিছু সূত্র বলছে, পুতিন এই আলোচনা নিয়ে সম্মত হতে পারেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নিজের অবস্থানে অটল থাকছেন, ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব কখনো মানবেন না বলে জানিয়ে দেন। ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে আরো লিখেছেন, ‘যদি জেলেনস্কি চান, তাহলে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ করতে পারেন। অথবা লড়াই চালিয়ে যেতে পারেন। মনে রাখবেন, সবকিছু কীভাবে শুরু হয়েছিল। ওবামার সময়ে ক্রিমিয়া চলে যায়, যেখানে একটিও গুলি ছোড়া হয়নি। ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে আর কখনো আগ্রহী নয়। কিছু বিষয়ে পরিবর্তন হয় না!’ এছাড়াও, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মেরৎস, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব ও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েনসহ অনেক পশ্চিমা নেতা আগামী সোমবার ওয়াশিংটনে আলোচনা করবেন। তবে কতোজন হোয়াইট হাউসে উপস্থিত থাকবেন, এখনো তা নিশ্চিত হয়নি। বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প কিছু শর্তে জেলেনস্কিকে চাপ দিতে পারেন শান্তিচুক্তির জন্য। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরও আশঙ্কা করছে, জেলেনস্কিকে ট্রাম্প শান্তিচুক্তি মানতে বাধ্য করার চেষ্টা করতে পারেন। কিছু বিশ্লেষক বলছেন, এগুলো মূলত মিডিয়ার গালগল্প। গত ফেব্রুয়ারিতে, যখন জেলেনস্কি ওভাল অফিসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন, তখনও পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল। জেলেনস্কি ও মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো ডি ভ্যান্সের মধ্যে তীব্র বিতর্কের ফলে আলোচনা ভেঙে যায়। এরপর, ওই ঘটনা ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্কে সম্পর্কের টানাপোড়েন আরও বাড়ায়। অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও অগ্রসরভাবে চলমান এসব আলোচনার পাশাপাশি, সম্প্রতি জেলেনস্কি ও ট্রাম্প ২০২৩ সালের জুলাই মাসে টেলিফোনে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন। এই কথা তিনি নিজে স্বীকার করেছেন। সেই আলোচনাকালে ইউক্রেন স্পষ্ট জানিয়েছে, তারা মার্কিন দ@sectionName: SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: