যমুনার পানির পরিমাণ কমना শুরু Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ১২:৪০ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২০, ২০২৫ সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীতে পানি কমতে শুরু করেছে, যা এলাকার মানুষের জন্য অনেকটাই স্বস্তির খবর। গত ২৪ ঘণ্টায় এই নদীর পানি ১১ সেন্টিমিটার কমে গেছে, এর আগে দিনটিতে ৭ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধিও দেখা গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, জেলায় এখনো কোনো বন্যার আশঙ্কা নেই, তবে পানি দ্রুত নিচের দিকে নামতে থাকায় বিভিন্ন এলাকা সতর্কতার ঢাল নিয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) ভোর ৬টায় সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধের হার্ড পয়েন্টে যমুনার পানি ১২ দশমিক ৩৭ মিটার রেকর্ড করা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় এটি ১১ সেন্টিমিটার কমে গেছে, ফলে পানি এখন বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১২.৯০ মিটার)। এর আগে শুক্রবার ও বৃহস্পতিবার এই পয়েন্টে ২২ আর ২৩ সেন্টিমিটার করে পানি বৃদ্ধি পেয়েছিল। অপরদিকে, কাজিপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টে পানির স্তর আজ ১৩ দশমিক ৯৯ মিটার। এখানে ২৪ ঘণ্টায় ৯ সেন্টিমিটার পানি কমে গেছে এবং এখন পানি বিপৎসীমার ৮১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১৪.৮০ মিটার)। স্থানীয় কৃষক শামীম রেজা বলেন, ‘যমুনার পানি কিছুটা কমেছে, তবে আবারও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পানি বিপৎসীমা অতিক্রমের আগেই তীররক্ষা বাঁধের দ্রুত মেরামত প্রয়োজন। না হলে পুরো ভাটপিয়ারী গ্রাম নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে।’ তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন না, বিষয়টি খুবই চিন্তার বিষয়। তারা বলছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং এটা সাধারণ কিছু। কাওয়াকোলা বর্ণী গ্রামের আলাউদ্দিন মিয়া বলেন, ‘অতীতে নদীর অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে নদী ভাঙছে। এখনও বালু খেকোরা পলাতক। নদীতে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দপ্তরেও কর্মকর্তাদের উপস্থিতি বাড়ে। যদি নিয়মিত নজরদারি করা হতো, তাহলে সময়মতো ভাঙনের প্রতিরোধ করা সম্ভব হতো।’ অপর দিকে, তেকানী গ্রামের কৃষক কুদ্দুস আলী জানান, বর্ষার শুরুতেই নদী ভাঙনের ঘটনা বেশি লক্ষণীয় হয়েছে। চরাঞ্চলের অনেকের বাড়ির আশেপাশে পানি প্রবেশ করছে, যার ফলে জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই বর্ষায় ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোকলেছুর রহমান বলেন, বর্তমানে যমুনার পানি কমতে শুরু করেছে, যার ফলে ভাঙনের মাত্রাও কমেছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, পানি বিপরীতমুখে নেমে গেলে ভাঙনের ঝুঁকি আবার বৃদ্ধি পায়, যার জন্য সর্তক থাকায় প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, ৮২ কিলোমিটার দীর্ঘ শহররক্ষা বাঁধের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ ও ভাঙন রোধে পরিকল্পনা কার্যকর করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বাঁধের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক মনিটরিং চলছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, যদি বড় ধরনের বন্যা না হয়, তাহলে পরিস্থিতি মোকাবেলায় যথেষ্ট সক্ষমতা রয়েছে। SHARES সারাদেশ বিষয়: