হাসিনা-ইউনূস দ্বন্দ্বে আমি ‘বলির পাঁঠা’ বলেছি টিউলিপ Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ২:৩২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৮, ২০২৫ বাংলাদেশে দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত হয়ে নিজেকে ‘নির্দোষ’ বলে দাবি করেছেন ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য ও প্রাক্তন ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি বলেছেন, এই মামলার মাধ্যমে তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন। ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ানে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা প্রকাশ করেছেন। ৪২ বছর বয়সী এই লেবার পার্টির নেত্রী জানিয়েছেন, তিনি সম্প্রতি জানতে পেরেছেন যে, ঢাকার পূর্বাচলে জমির বরাদ্দে প্রভাব বিস্তার করার অভিযোগে তাঁর ও আরও ২০ জনের নামে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ এনেছেন বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ। এই মামলার শুনানি নির্ধারিত হয়েছে ১১ আগস্ট। তবে টিউলিপ বলেছেন, তিনি এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক সমন পাননি এবং অভিযোগপত্র দেখেননি। তাঁর ভাষ্যে, “আমি যেন এক অদ্ভুত দুঃস্বপ্নের মধ্যে আটকে আছি, যেখানে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হতে যাচ্ছে কিন্তু আমি জানি না আমার বিরুদ্ধে আসল অভিযোগ কী।” বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ বলছে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকায়, প্রয়োজন হলে তার অনুপস্থিতিতেই বিচার কার্যক্রম চলে যেতে পারে। টিউলিপ জানিয়েছেন, গত বছর জুলাইয়ে লেবার পার্টির নির্বাচনী জয়ের পরে তিনি অর্থনৈতিক সচিব ও সিটি মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন, এবং তিনি তার কাজ উপভোগ করছিলেন। তবে একই সময়ে বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের কারণে শেখ হাসিনার সরকার পতনের ঘটনাও ঘটে। ক্ষমতা পরিবর্তনের পর, ভারতের সাধারণ অর্থনীতিবিদ ও দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী মুহাম্মদ ইউনূসের শাসনাধীন বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উঠে। প্রথমত, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তিতে ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ তোলা হয়, যা তিনি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। এরপর ২০০৪ সালে লন্ডনের কিংস ক্রস এলাকায় একটি ফ্ল্যাট উপহার পাওয়ার অভিযোগও উঠেছে, যা তিনি ব্যাখ্যা করেছেন। নিরাপত্তা কারণে অন্য কারো মালিকানাধীন বাড়িতে থাকার বিষয়টিও সমালোচিত হয়েছে। তবে যুক্তরাজ্যের একজন স্বাধীন উপদেষ্টা, স্যার লরি ম্যাগনাস, তার আর্থিক বিষয়গুলি বিশ্লেষণ করে তাকে অচিহ্নিত করে দেন। টিউলিপ অভিযোগ করেন, বাংলাদেশে ক্ষমতা পরিবর্তনের পর ‘নোংরা রাজনীতি’ তার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এটি মুহাম্মদ ইউনূস ও আমার খালার, শেখ হাসিনার মধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের ফল হওয়া স্বাভাবিক। আমি এর বলি হয়েছি। বাংলাদেশে যারা অপরাধ করেছে, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত, কিন্তু আমি তাদের মধ্যে নই।’ SHARES রাজনীতি বিষয়: