বিদ্যুৎ বিল বাবদ বাংলাদেশ সরকারের কাছে বকেয়া ১৩৫ কোটি টাকা চাইলো ত্রিপুরা সরকার Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৭:০০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২, ২০২৪ আদানি গোষ্ঠীর পর এবার বকেয়া ঋণ শোধের জন্য ইউনূস সরকারের উপর চাপ বাড়ালো ত্রিপুরাও। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ করেছে অবিলম্বে তারা যেন ১৩৫ কোটি টাকার বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে। ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কর্পোরেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্যিক চুক্তি হয়েছিল ত্রিপুরা সরকারের। এই চুক্তির মাধ্যমে ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে পাঠানো হত বিদ্যুৎ। ত্রিপুরার বিদ্যুৎমন্ত্রী রতন নাথ বাংলাদেশের বকেয়া নিয়ে মুখ খুলেছেন। তবে তিনি এ-ও জানিয়েছেন, নিয়মিত বকেয়া মিটিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, ‘‘যদিও ১৩৫ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে, তবে বাংলাদেশ নিয়মিত ভাবে বকেয়া মেটাচ্ছে।’’ বিদ্যুৎমন্ত্রী আরও মনে করিয়ে দেন, বিদ্যুৎ বাবদ প্রতি ইউনিট হিসাবে ছ’টাকা ৬৫ পয়সা করে নেয় ত্রিপুরা সরকার। ত্রিপুরা স্টেট ইলেকট্রিসিটি কর্পোরেশন লিমিটেড (টিএসইসিএল) বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভলপমেন্ট বোর্ডকে (বিপিডিবি)। কিন্তু বকেয়া টাকা ১০০ কোটি ছাড়িয়ে যেতেই বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করেছিল টিএসইসিএল। চলতি বছরের মে মাসে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে গত এক বছর ধরে সময়মতো টাকা শোধ দেয়নি বাংলাদেশ। ফলে বেড়েছে বকেয়া। এর মধ্যে বাংলাদেশে চলতে থাকা ভারতবিরোধী কার্যকলাপ ও ‘সংখ্যালঘু নির্যাতনে’র ঘটনার জেরে ইউনূস সরকারকে দ্রুত এই বকেয়া পরিশোধে অবিহিত করা হয়েছে ত্রিপুরার তরফে। বিদ্যুৎমন্ত্রী বলেন ‘‘আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি বকেয়া টাকা ফিরিয়ে আনার জন্য। বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে চিঠিও লিখেছি, আমি ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করেছি।’’ এদিকে আদানিদের সঙ্গে বিদ্যুৎ নিয়ে সমস্যা চলছে বাংলাদেশ সরকারের। ২০১৭ সালে শেখ হাসিনার আমলে আদানি গোষ্ঠীর বিদ্যুৎচুক্তির বিষয়ে হাইকোর্ট তদন্তের নির্দেশ দেন। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারও আদানিসহ ছ’টি সংস্থার সঙ্গে হওয়া বিদ্যুৎচুক্তি খতিয়ে দেখছে। সূত্র : টাইমস অফ ইন্ডিয়া SHARES অর্থনীতি বিষয়: