দেশে বাড়ছে ধর্ম অবমাননার মামলা

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ২:৩৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৭, ২০২৪

আমাদের দেশে ও দেশের বাইরে ক্রমশ বাড়ছে ধর্মে অবিশ্বাসীদের সংখ্যা ও বাড়ছে নাস্তিক্যবাদী প্রকাশনা। আর এসকল প্রকাশনার জের ধরেই বেড়ে চলেছে দেশে ধর্ম অবমাননার মামলা। গত ৪ মাসে রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন আদালতে জমা পড়েছে কমপক্ষে অর্ধ শতাধিক ধর্ম অবমাননার মামলা।

গত অক্টোবর মাসে এরকমই একটি নাস্তিক্যবাদী প্রকাশনা ‘অধার্মিক’ নামক এক ম্যাগাজিনের বিরুদ্ধেও মৌলভীবাজার আদালতে ধর্ম অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়। ম্যাগাজিনটির সম্পাদক সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি ও অরুচিকর বক্তব্য লিখার কারনে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগার অভিযোগে ধর্ম অবমাননার মামলাটি করা হয়। এই মামলাটি দায়ের করেন মৌলভীবাজার জেলার একজন স্বনামধন্য হেফাজত কর্মী মোঃ আবু বকর সিদ্দিক আজিজ।

ঠিক কি কারনে ধর্ম অবমাননার মত একটি গুরুতর মামলা করেছেন এই প্রশ্নে মোঃ আবু বকর সিদ্দিক আজিজ বলেন, “বাংলাদেশি নাস্তিক কুলাঙ্গারদের দিন দিন সাহস বেড়ে চলেছে। তারা অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত ইসলাম বিদ্বেষ ও নবী রসুলের বিরুদ্ধে কুৎসা প্রচার করছে। এতে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে থাকা কয়েক লক্ষ কোটি মুসলমানদের হৃদয়ে ক্ষত জন্মেছে। আঘাত পেয়েছে মুসলিম উম্মা। এই বাংলাদেশের শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষ মুসলমান। এই মুসলমানদের মাটিতে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাইকে থাকার জায়গা দিয়েছি আমরা, কিন্তু এই পবিত্র মাটিতে নাস্তিকদের জন্য এক ইঞ্চি জায়গাও হবেনা। আমাদের সরকারকে অবশ্যই এই নাস্তিক লেখকদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্যই মূলত এই মামলাটি দাখিল করেছি।”

এই মামলার মুল আসামি, অধার্মিক ম্যাগাজিনের সম্পাদক এমডি সাইফুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “মূলত বাক স্বাধীনতার গলা টিপে হত্যা করতেই এই ধরনের বর্বর মামলা করা হয়েছে। যুক্তি দিয়ে লেখা বক্তব্যের বিরুদ্ধে পাল্টা যুক্তি উপস্থাপন না করে এভাবে মামলা করা এক ধরনের কাপুরুষতার পরিচয়। উগ্রবাদীরা এভাবেই মামলা-হামলা করে ভিন্নমত পোষণকারীদের দমিয়ে রাখতে চায়।”

বর্তমানের মামলার অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “মামলাটি বর্তমানে আদালতে আছে। মামলার তদন্ত কাজ করছে পুলিশ। ইতিমধ্যে আমাদের ১৯ জন লেখকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। তবে বেশিরভাগ লেখক দেশের বাইরে অবস্থান করায় তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি পুলিশ। তবে তারা মোটেও আশংকামুক্ত নন। দেশে ফেরত যাওয়া মাত্র গ্রেফতার হতে হবে আমাদের লেখকদের, সম্মুখীন হবেন অযাচিত নির্যাতনের। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের দেশের কেউ ভিন্নমত পোষণ করতে সাহস পাবেনা। সরকারের উচিত দেশের প্রতিটি নাগরিক, আস্তিক কিংবা নাস্তিক যাই হোক না কেন, সকলের বাক-স্বাধীনতা রক্ষা করা।”

এ বিষয়ে পুলিশ সদর দফতরের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানা যায় যে মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধিন আছে এবং খুব শীঘ্রই পুলিশ তদন্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দিবেন।