আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশের সীমা বাড়ালো কেন্দ্রীয় ব্যাংক Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ১২:১৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৩, ২০২১ ব্যাংকের পর এবার আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ঘোষণার সীমা ৩০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠিয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশসহ ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে। এর আগে ২৪ ফেব্রুয়ারি জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, কোনো প্রতিষ্ঠান যতই মুনাফা করুক, তারা শেয়ারধারীদের ১৫ শতাংশ, অর্থাত্ শেয়ারপ্রতি দেড় টাকার বেশি নগদ লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করতে পারবে না। তবে এমন সিদ্ধান্তে পুঁজিবাজারে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থবছর শেষ হয় ডিসেম্বরে। এ সময়টিতে মূলত এসব প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করে থাকে। লভ্যাংশ ঘোষণার মৌসুমে বাংলাদেশ ব্যাংকের এমন সিদ্ধান্তে হতবাক বিনিয়োগকারীরাসহ বাজার বিশ্লেষকেরা। এ অবস্থার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির মধ্যে সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করেন তারা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ঘোষণায় সীমা বেঁধে দেওয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত পালটাতে দাবি ওঠে সব মহল থেকে। পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান মার্চেন্ট ব্যাংকারদের সমিতি কেন্দ্রীয় ব্যাংককে এই নির্দেশনা পালটাতে চিঠি দেয়। একই সঙ্গে চিঠি দেয় ব্যক্তি শ্রেণির বিনিয়োগকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ। বিষয়টির পর্যালোচনা চেয়ে আসছিল বিএসইসিও। পুঁজিবাজার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে বিএসইসির সঙ্গে আলোচনা করে অন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা ব্যবস্থা নেবে, এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে ২০১৫ সালেই। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিষয়টি মেনে চলেনি আর। সমালোচনার মধ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ঘোষণার বিষয়ে নির্দেশনা থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়ে আসছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ মার্চ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে বিএসইসির সঙ্গে বৈঠকে বসেন বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বৈঠকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বে কমিশনের মুখপাত্র ও কমিশনাররা অংশ নেন। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মাসুদ বিশ্বাসের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। SHARES অর্থনীতি বিষয়: