জলবায়ু ও কোভিড-১৯: ঐক্যবদ্ধ বৈশ্বিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ১০:০০ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০

জলবায়ু পরিবর্তন ও কোভিড-১৯ মহামারি থেকে উদ্ভূত সংকট কার্যকরী মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ বৈশ্বিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যের নেতৃস্থানীয় দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায় লেখা এক নিবন্ধে ক্লাইমেট ভারনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) সভাপতি শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও কোভিড-১৯ বর্তমানে বৈশ্বিক হুমকি। এই উভয় ঝুঁকি প্রশমনে আমাদেরকে আরো অনেক কিছু করতে হবে। আর তা করতে হবে ঐক্যবদ্ধ আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের মাধ্যমে।

তিনি আরও বলেন, গতমাসে আমার দেশের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। প্রায় দেড় কোটি বাংলাদেশী এতে বাস্তুচ্যুত হয়। লাখ লাখ হেক্টর জমির ধান বন্যার পানিতে ভেসে যায়। ফলে লাখ লাখ মানুষের জন্য এ বছর খাদ্য সহায়তার প্রয়োজন হবে। দুর্যোগ কখনো এককভাবে আঘাত হানে না। গত মে মাসে বন্যার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হয়। এর পাশাপাশি করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো থেকে ইতোমধ্যে ২ দশমিক ৪ মিলিয়ন মানুষকে সরিয়ে নিতে হয়েছে। তবে কোভিড-১৯ এ মৃত্যু ও আক্রান্তের হার এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কোভিডের কারণে অর্থনৈতিক লকডাউন আমাদের বস্ত্র শিল্প ও রফতানিকে আঘাত করেছে। বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ বর্তমানে বেকার।

বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতিগ্রস্ত অনেক দেশের মতো বাংলাদেশও লাখ লাখ মানুষের জীবন, স্বাস্থ্য পরিচর্যা পদ্ধতি ও অর্থনীতিকে নিরাপদ করার চেষ্টা করছে। বৈশ্বিক মোট নিঃসরণের ৮০ শতাংশের জন্য জি-২০ দেশগুলো দায়ী। প্রত্যেকের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছাড়া বিশ্ব সাফল্যজনকভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি সামাল দিতে পারবে না।

বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণে ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তি এখনো আমাদের জন্য সেরা সুযোগ। এ পর্যন্ত ১৮৯টি দেশ এই চুক্তিটি অনুমোদন করেছে। এতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি বন্ধে নিঃসরণ কমাতে সম্মিলিত পদক্ষেপের অঙ্গীকার রয়েছে।