কুড়িগ্রামে ছাত্রলীগ কর্মীর হাতে প্রতিমন্ত্রীর নিরাপত্তায় থাকা কনস্টেবল লাঞ্চিত।

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ১০:৫৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৭, ২০১৯

কুড়িগ্রামে ছাত্রলীগ কর্মীর হাতে প্রতিমন্ত্রীর নিরাপত্তায় থাকা কনস্টেবল লাঞ্চিত।

প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এমপি’র নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক পুলিশ সদস্যকে লাঞ্চিত করেছে ছাত্রদল থেকে সদ্য যোগ দেয়া এক ছাত্রলীগ কর্মী।

ঘটনাটি ঘটেছে, রবিবার সন্ধা সাড়ে ৫টার দিকে জেলার রৌমারী উপজেলায় প্রতিমন্ত্রীর বাড়ির সামনে। আহত ওই পুলিশ সদস্য রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিজ বাসায় ফিরে যান। এ ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।

রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান ইনাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি তিনি তার উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় পরবর্তি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রত্যক্ষদর্শি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এমপি তাঁর বাসা থেকে দূর্গা পূজা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুঃস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী ও কাপড় বিতরণ প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হলে নাজমুল হাসান জুয়েল নামের ওই ছাত্রলীগ কর্মী কনস্টেবল আবু সায়েম কে ইউনিফর্ম পড়া অবস্থায় এলোপাতাড়ি কিলঘুষি ও লাথি মেরে আহত করে। ঘটনাটি প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন অবহিত হলে ছাত্রলীগের ওই কর্মীকে তাৎক্ষনিক শাসন করে বিষয়টি মীমাংসা চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে ওই কন্সটেবল থানায় ফিরে এসে অফিসার ইনচার্জ(ওসি)এর কাছে তাকে লাঞ্চিত করার উপযুক্ত বিচার দাবী করেন।
আহত পুলিশ সদস্য আবু সায়েম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা চারজন পুলিশ সরকারি দায়িত্ব পালন করছিলাম। মন্ত্রী স্যার কাপড় ও ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছিলেন। অনেক মানুষ উপস্থিত হওয়ায় একটু হট্টগোলের সৃষ্টি হলে জুয়েল নামের ওই ছেলেটা প্রথমে আমাদের উদ্যেশ্য করে গালিগালাজ করতে থাকে। গালি দিচ্ছেন কেন-এটা মাত্রই আমাকে পোশাকের কলার ধরে কিলুঘষি ও লাথি মারে। পরে মন্ত্রী স্যার এসে তাকে ধমক দিয়ে চরথাপ্পর মেরে দুঃখ প্রকাশ করেন।’ উল্লেখ্য, ছাত্রলীগ কর্মী নাজমুল হাসান জুয়েল মন্ত্রীর চাচাতো ভাই বলে জানা গেছে। আ’লীগ ক্ষমতায় আসার পর সে খোলস পাল্টে ছাত্রদল থেকে উপজেলা ছাত্রলীগে যোগ দেয়।

এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনার পর পরই আমি ওই ছাত্রলীগ কর্মীকে থাপ্পর মেরে বাসা থেকে বের করে দিয়েছি। পুলিশের গায়ে হাত দিয়ে সে অন্যায় করেছে।