গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ নতুন বছরের শুরুতেই শুরু হতে পারে

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৪৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৫

নতুন বছরের প্রথম মাস, অর্থাৎ জানুয়ারি ২০২৬ সালে, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ শুরু হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১৩ এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মিডল ইস্ট মনিটর সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই পরিস্থিতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং আঞ্চলিক মধ্যস্থতাকারীরা সম্মত হয়েছেন।

প্রতিবেদনটি বলছে, নতুন বছরে গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ চালুর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) এক জ্যেষ্ঠ ইসরায়েলি কর্মকর্তা এই কথা জানিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ইসরায়েল ও মধ্যস্থতাকারীদের সাথে আলোচনা করে জানুয়ারির শুরুতেই এই ধাপ কার্যকর করার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন।

অন্তর্ভুক্ত ইসরায়েলি কর্মকর্তারা মনে করছেন, ট্রাম্প প্রশাসন যদি গাজার ন্যূনতম নিরস্ত্রীকরণ ছাড়াই দ্বিতীয় ধাপে এগিয়ে যান, তাহলে সংশ্লিষ্ট সবাই উদ্বিগ্ন হবেন।

প্রসঙ্গত, গত ৯ অক্টোবর মিশর, কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় এবং ট্রাম্পের পৃষ্ঠপোষকতায় ইসরায়েল ও হামাস দুই পক্ষের মধ্যে দুই ধাপের যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তবে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়ে, ইসরায়েলের চলমান সংঘর্ষ ও যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের 때문에 চারশো’র বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকেই শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা পাঁচ লক্ষের বেশি, যাদের অধিকাংশই নারী এবং শিশু। আহত হয়েছেন এক লাখ সত্রিশ হাজারেরও বেশি মানুষ।

অপরদিকে, নিরাপত্তার জন্যে হামলার পাশাপাশি ফিলিস্তিনি জোদ্ধার হামলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সম্প্রতি, অবরুদ্ধ উত্তর ফিলিস্তিনের জেনিন অঞ্চলের বেইত শা’ন এলাকায় দুই উপায়ে দখলদার ইসরায়েলি বসতি স্থাপনে ঝাঁজ হলো।

প্রথমে এক ফিলিস্তিনি যুবক গাড়ি চাপা দিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হামলা চালিয়েছেন। তিনি জেনিনের কাবাতিয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং কয়েক দিন আগে বেইত শা’ন এলাকায় পৌছান। প্রথমে একজন ইসরায়েলিকে গাড়ি দিয়ে ধাক্কা দেন এবং আহত করেন, এরপর আরও একজনের ওপর ছুরিকাঘাত চালায়। এই ঘটনায় দুই ইসরায়েলি নিহত ও আরও ছয়জন আহত হন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিনি ইসলামী জিহাদ আন্দোলনের সদস্য বলে মনে করা হয়। এই হামলার পেছনে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী এবং বসতি-স্থাপনকারী কর্তৃপক্ষের তাণ্ডবের জের রয়েছে।