চিংড়ি রপ্তানিতে আন্তর্জাতিক মান অনুসরণের গুরুত্ব গুরুত্বারোপ

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৩০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৫

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, বাংলাদেশের চিংড়ির স্বাদ ও মান বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে চিংড়ির রপ্তানি সফল করতে শুধু আকার বা স্বাদ বিবেচ্য নয়; এর পাশাপাশি চিংড়ির স্বাস্থ্যমান, পরিবেশসম্মত উৎপাদন পদ্ধতি এবং অ্যান্টিবায়োটিকমুক্ত অবস্থা কঠোরভাবে পরীক্ষা করা হয়। এজন্য রপ্তানিকারক ও উৎপাদনকারীদের আন্তর্জাতিক মান ও পদ্ধতি অনুসরণ করা অত্যন্ত জরুরি। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ফলিত মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র পরিদর্শন ও আড়ত মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা আরও বলেন, দেশের চিংড়ি রপ্তানি খাতে বিরাজমান উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক মানের অনুসরণ অপরিহার্য। এই প্রক্রিয়ায় আকার, স্বাদ, স্বাস্থ্যমান, পরিবেশবান্ধব উৎপাদন পদ্ধতি ও অ্যান্টিবায়োটিক মুক্ততা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি emphasized করে বলেন, শুধু দেশের_INTERNAL_EXTERNAL_ অভ্যন্তরীণ বাজার নয় বরং আন্তর্জাতিক বাজারে স্বীকৃতি অর্জনে পণ্যের গুণগত মান বজায় রাখা জরুরি।

অতিরিক্তভাবে, তিনি জানান, ভারতসহ অন্যান্য দেশের কাছ থেকে বা অবৈধভাবে পণ্য আনা চলমান সমস্যা। এই ধরনের অসাধু পণ্য গ্রহণযোগ্য নয়, কারণ এটি সরকারের রাজস্ব ক্ষতি করে এবং ব্যবসায়ীদের ন্যায্য লাভের পথে বাধা সৃষ্টি করে। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, শেষ পর্যন্ত এই পণ্যগুলো ফেলে দিতে হয়, যা দেশের সম্পদ অপচয়।

বিদ্যুৎ সুবিধার বিষয়ে, উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, কৃষি খাতে যে ভর্তুকিযুক্ত বিদ্যুৎ প্রদান হয়, মৎস্য খাতে তা এখনো নিশ্চিত হয়নি। তবে, চলতি বছরের এক বছর ধরে এ বিষয়ে কাজ চলছে, যা দ্রুত বাস্তবায়িত হলে প্রায় ২০ শতাংশ বিদ্যুৎ সুবিধা দেয়া সম্ভব হবে বলে আস্থা প্রকাশ করেন।

অন্যদিকে, নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, অতীতের মতোই চলমান পরিস্থিতির মধ্যে সরকার সুষ্ঠু ও নিরাপদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির গুলির ঘটনায় যেকোনো পক্ষের জড়িত থাকুক না কেন, কঠোর নীতিগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাধারণ মানুষেরও এ বিষয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। নিরাপত্তা ঝুঁকি কমাতে পুলিশের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

দেশের মৎস্য খাতের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, পদ্ধতিগত কিছু ঘাটতির কারণে বাংলাদেশ এখনো এই খাতে সম্পূর্ণ লাভবান হয়ে উঠতে পারেনি। প্রাকৃতিক উৎস থেকে মাছের পোনা সংগ্রহে আইনগত সীমাবদ্ধতার কারণে, দেশে আরও হ্যাচারি প্রতিষ্ঠা করে পোনা উৎপাদন বাড়াতে হবে।

অতিরিক্তভাবে, তিনি স্মরণ করেন যে, বিগত সরকারের কিছু নীতিগত ভুলের কারণে চিংড়ি রপ্তানি খাত কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে। তবে, এখন থেকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে এই বৈষম্য দূর করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক গোলাম মো. বাতেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাজ কুমার বিশ্বাসসহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা।