কলকাতায় ফের বাংলাদেশি উপ-দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৪৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৫ কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশের উপ-দূতাবাসের সামনে আবারও তাৎক্ষণিক বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। এর প্রতিবাদে গত শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন এবং সাধু-সন্তদের নেতৃত্বে এক বৃহৎ আন্দোলন অনুষ্ঠিত হয়। এই বিক্ষোভের মূল কারণ হলো ময়মনসিংহে দিপু দাশ নামে এক হিন্দু যুবকের হত্যাকা-ের প্রতিবাদ। বছরের শেষ দিনটিতে এই ঘটনার প্রতি ভারতীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের আস্থা ও সংহতির প্রকাশ ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপ-দূতাবাস ও তার আশপাশের এলাকা কঠোর পুলিশি নিরাপত্তায় ঘেরা ছিল। অঞ্চলটি যেন অক্ষত থাকুক, সেই জন্য কলকাতার শিয়ালদহ স্টেশন চত্বর থেকে শুরু হয় এক গেরুয়া কাপড় পরা সাধু-সন্তদের মিছিল। এই মিছিলটি বাংলাদেশি উপ-দূতাবাসের দিকে অগ্রসর হলেও, কলকাতা পুলিশ সেটিকে বেগতিক দেখিয়ে বাগদান করে। তবে জানানো হয়, এই মিছিল সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবেই অত্র। এরপর পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীসহ চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ডেপুটি হাইকমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। প্রায় ৩০ মিনিটের বক্তৃতা ও আলোচনা শেষে, শুভেন্দু অধিকারী বলেন, সোমবার থেকে বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন, সাধু-সন্ত সমাজ ও বিজেপির এমপি ও বিধায়কেরা বাংলাদেশের সরকারের বিরুদ্ধে তাদের দুর্বলতা ও প্রতিবাদ ডেপুটি হাইকমিশনের মাধ্যমে প্রকাশ করতে প্রস্তুত। তিনি অভিযোগ করেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে হিন্দুদের উপর লাঠিচার্জ চালিয়েছেন। তাঁর দাবি, গত মঙ্গলবারে পুলিশী লাঠিচার্জের ঘটনায় বেশ কিছু মানুষ আহত হয়েছেন—কিছু মানুষের মাথা ফেটেছে, নাক ভেঙেছে, এমনকি সাধু-সন্তরাও মারধর হয়েছে। এ ঘটনার বিবরণে তিনি জানিয়ে থাকেন, গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৯ জনকে, এর মধ্যে ৭ নারী জামিনে মুক্ত হয়েছেন, এবং ১২ জন আদালতে হাজির হয়েছেন। শুভেন্দু আরও বলেন, ডেপুটি হাইকমিশনারকে তারা জানিয়েছিলেন, যদি দেখা না যায়, তবে তারা ১০,০০০ মানুষের সমাবেশের জন্য প্রস্তুত থাকবেন। উত্তরে, ডেপুটি হাইকমিশনার জানান, তারা সরকারি অনুমতি নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। বিষয়টি থেকে জানা যায়, দিপু চন্দ্র দাশের অপরাধের বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে, পুলিশ জানায়—তাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত জামিন দেওয়া হবে না। নিহতের পরিবারকে পুরো দায়িত্ব রাষ্ট্রই নিয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী হুঁশিয়ার করে বলেন, কপিলমুনির আশ্রমে অনুষ্ঠিত গঙ্গাসাগর মেলায় সাধু-সন্তরা কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত আসেন। তিনি ঘোষণা দেন, প্রয়োজন হলে আরও পাঁচ লাখ সাধু-সন্তরাকে নিয়ে আবারও উপ-দূতাবাসের সামনে আসবেন এবং আন্দোলন আরও তীব্র করবেন। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যুবক দিপু দাশের হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক প্রতিবাদের ঝড় বইছে। গত কয়েকদিন ধরে কলকাতায় বাংলাদেশি উপ-দূতাবাসের সামনে অসংখ্য বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিশেষ করে শুক্রবার ২৬ জানুয়ারির ওই দিন, শংকিত সাধু-সন্তদের নেতৃত্বে নতুন করে এই আন্দোলন জোরদার করা হয়। SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: