ডিসিসিআই এর উদ্যোগে ব্যবসা ও বিনিয়োগের জন্য সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিতের আহ্বান

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৩৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৫

দেশের বেসরকারি খাতের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে এবং এই খাতে আরও উন্নতি ও বৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এর নেতৃত্বে এই লক্ষ্য হাসিলের জন্য মাননীয় সরকারের কাছ থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য সহায়ক পরিস্থিতি নিশ্চিতের আহ্বান জানানো হয়েছে।

তাদের বক্তব্যে বলা হয়, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ে নীতিমালা পরিমার্জন, রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় বাকি থাকা প্রতিবন্ধকতা দূর করা, এবং অটোমেশন প্রযুক্তি চালু করলে এই খাতগুলো আরও বেশি গতিশীল হবে। এর পাশাপাশি, লজিস্টিক খাতের উন্নয়ন, উদ্যোক্তাদের স্বল্পসুদে ঋণ সুবিধা, প্রক্রিয়া সরলীকরণ, শিল্প অঞ্চলে নিরবিচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ এবং আইনের শাসন ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা অত্যন্ত জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন ডিসিসিআইয়ের নেতারা। এই সকল বিষয় বাস্তবায়নের মাধ্যমে ব্যবসার জন্য অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে বলে আস্থাও প্রকাশ করা হয়।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) ডিসিসিআই এর ৬৪তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এই সব বিষয় তুলে ধরা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি তাসকীন আহমেদ। তিনি বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতি, ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা, কৃষ্ণচুড়ার মতো মূল্যস্ফীতি, স্থবির বিনিয়োগ ও চলমান জ্বালানি সংকটের কারণে দেশের অর্থনীতি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এ পরিস্থিতিতে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের অবস্থা সুদৃঢ় করতে একযোগে কাজ করতে হবে।

ডিসিসিআই পূর্বে জুড়ে ৩১টি খাতভিত্তিক সেমিনার, কর্মশালা ও বৈঠক আয়োজন করেছে, যেখানে নীতি-নির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনা চালানো হয়েছে। এছাড়া, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ও উন্নতির জন্য একটি প্রথমসেন্তান্ত ‘অর্থনৈতিক অবস্থান সূচক (ইপিআই)’ চালু করেছে যা বিভিন্ন খাতের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে, ব্যবসায়ী ও গবেষকরা আরও উন্নত সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা অর্জন করবেন বলে আশা প্রকাশ করা হয়।

সাধারণ সভার আলোচনা পর্বে প্রাক্তন ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ, বিশিষ্ট উদ্যোক্তা ও অর্থনীতিবিদরা তাদের মতামত ও মূল্যবান বক্তব্য প্রদান করেন। সভাটি শেষ হয় ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ড. এ কে এম আসাদুজ্জামান পাটোয়ারীর উপস্থাপনায়। এই সভা উল্লেখযোগ্য ছিল, কারণ এটি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও উদ্যোগের উপর গুরুত্ব আরোপ করে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।