ডিসিসিআই-এর আহ্বানে ব্যবসা ও বিনিয়োগের সুবিধা নিশ্চিতের জন্য রাজনৈতিক ঐক্য প্রয়োজন

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৩৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫

দেশের বেসরকারি খাতের অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে ঢাকাআঞ্চল্য ও জাতীয় উন্নয়নের জন্য ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পরিবেশকে আরও উন্নত করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সম্প্রতি এই লক্ষ্যে বেশ কিছু সুপারিশ উপস্থাপন করেছে। সংগঠনটি বিশ্বাস করে, ব্যবসা ও বিনিয়োগের জন্য একটি সহায়ক পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে হলে জরুরি খাত ভিত্তিক নীতিমালা সংষ্কার, রাজস্ব ব্যবস্থায় বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠা, স্বয়ংক্রিয়তা ও আধুনিকায়ন প্রবর্তন করা এবং দক্ষ লজিস্টিক সেবা উন্নয়ন অপরিহার্য। পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের স্বল্পসুদে ঋণ সুবিধা ও প্রক্রিয়া সহজীকরণ, শিল্পখাতে একটানা জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করাসহ আইনি-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার মাধ্যমে একটি ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার বিকল্প নেই। এ সব প্রয়োজনীয় উদ্যোগের জন্য রাজনৈতিক দৃষ্টি-যোগ আরও জোরালো করা ও ঐক্যমত সৃষ্টি করা আবশ্যক বলে মনে করে ডিসিসিআই।

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সংগঠনের ৬৪তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এই দাবি জানানো হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ। তিনি বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে বৈশ্বিক অর্থনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশের অর্থনীতিকে স্বস্তিদায়ক ও গতিশীল করার জন্য বর্তমান জটিল পরিস্থিতি মোকাবেলায় রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই। জলবায়ু পরিবর্তন, অস্থিরতা, শুল্ক বৃদ্ধি, রিজার্ভ সংকট, মুদ্রানীতি, রাজনৈতিক অস্থিরতা, আইন-শৃঙ্খলা ও জ্বালানি সংকটের জেরে অর্থনীতি নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি রয়েছে।

তাসকীন আহমেদ উল্লেখ করেন, এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় ডিসিসিআই চলতি বছরে ৩১টি খাতভিত্তিক সেমিনার, নীতি আলোচনা, কর্মশালা এবং বৈঠকের আয়োজন করেছে। পাশাপাশি, দেশের বিভিন্ন নীতি-নির্ধারক, গবেষক ও শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তার জন্য প্রথমবারের মতো ‘অর্থনৈতিক অবস্থান সূচক (ইপিআই)’ চালু করা হয়েছে, যা দেশের উৎপাদন ও সেবা খাতের ত্রৈমাসিক অর্থনৈতিক পরিবর্তন পরিমাপ করবে।

সাধারণ সভায় মুক্ত আলোচনা প্রসঙ্গে নেতৃবৃন্দরা গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেন, যেখানে প্রাক্তন নেতা ও শিল্প সংগঠনের প্রতিনিধিরা তাঁদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। সভার সমাপ্তিতে ডিসিসিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ড. এ কে এম আসাদুজ্জামান পাটোয়ারী সভা পরিচালনা করেন। এই উদ্যোগগুলো দেশের ব্যবসা-উন্নয়ন বিষয়ক নীতিকে আরো গতিশীল ও স্থিতিশীল করে তুলবে বলে মনে করেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।