চরমোনাই পীর-মামুনুল না থাকছেন জামায়াতের জোটে Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৩৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫ শেষ মুহূর্তে এসে নির্বাচন ঘিরে আসনে সমঝোতা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে জামায়াতের ইসলামি আন্দোলনসহ আট দলের মধ্যে। লিয়াজোঁ কমিটি দফায় দফায় বৈঠক করলেও তারা এখনো কোনো একক প্রার্থী নির্বাচন বা আসন ভাগাভাগি নিয়ে সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি। বিশেষ করে চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন এবং মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কাছ থেকে তারা ব্যাপক আসন চেয়ে থাকায় এগুলো নিয়ে গভীর দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। যদি নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী আসন না পান, তাহলে এই দুটি দল আলাদা প্ল্যাটফর্ম করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে সূত্রের খবর। অপরদিকে, আসন সমঝোতা নিয়ে আট দলের মধ্যে ঝগড়া শুরু হওয়ার মধ্য দিয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছে এনসিপি। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলছে, জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নিতে তারা অন্তত অর্ধশত আসন চাচ্ছে। যদি সমঝোতা হয়, তাহলে সকল দলেরই আরও বেশি ছাড় দিতে হবে। এছাড়া আরও কিছু দল আসন সমঝোতার লক্ষ্যে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে, এই বিষয়টি বেশ জটিলতা সৃষ্টি করেছে এবং নির্বাচনী মাঠে নতুন এক মেরুকরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সূত্রমতে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা আসন ভাগাভাগির ভিত্তিতে অংশগ্রহণের চেষ্টা করছে জামায়াত, ইসলামি আন্দোলন, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত আন্দোলন, নেজামে ইসলাম পার্টি, জাগপা ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি। এ দলগুলো সরকার গঠনের লক্ষ্যে নির্বাচনি ভোট একেবারে একসঙ্গে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। তবে শেষ মুহূর্তে আসন সমঝোতা নিয়ে জটিলতা হওয়ায় সেই উদ্যোগ প্রশ্নের মুখে পড়েছে। এদিকে, জানা গেছে, ইসলামি আন্দোলন ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের চাহিদা অনুযায়ী আসন ভাগাভাগি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বেশ চাপের মধ্যে রয়েছেন জামায়াত। অন্য দলগুলোর চাহিদা পূরণ করলে জামায়াতের আসন সংখ্যা অনেক কমে যাবে। অন্যদিকে, যদি তাদের প্রত্যাশিত পরিমাণ আসন না পাওয়া যায়, তাহলে এই প্রক্রিয়া থেকে বের হয়ে বিকল্প সিদ্ধান্ত বা আলাদা প্ল্যাটফর্ম করার চিন্তা করছে কিছু দল। তবে, সব দলেরই এখনো ইচ্ছা অবিচল, তারা চায় এই নির্বাচনে সমঝোতার ভিত্তিতেই অংশ নিতে। অন্যরা বলছে, জামায়াতকে বেশি ছাড় দেওয়া উচিত। কাল শনিবারের মধ্যে সিনিয়র নেতাদের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। তবে, এই দিন না হলে মনোনয়ন ফরম প্রত্যাহার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলেও সতর্ক করেছেন সংশ্লিষ্টরা। জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও আট দলের সমন্বয়কারী ড. হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘জামায়াতের কাছে কোনো আসন নেই, আসন সব দলের। আমাদের সবাইকে ছাড় দিতে হবে, সবাই মিলেই নির্বাচনে গিয়ে একযোগে কাজ করব।’ সূত্র মতে, চরমোনাই পীরের নেতৃত্বে থাকা ইসলামী আন্দোলন শতাধিক আসন দাবি করছে। অন্যদিকে, মামুনুল হকের নেতৃত্বে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের চাওয়া অন্তত ২৫ থেকে ৩০ আসন। এছাড়া, খেলাফত মজলিসের অন্য সংগঠনের পক্ষ থেকেও বেশ কয়েকটি আসন দাবি করা হচ্ছে। এই চাহিদাগুলোর জন্য জামায়াতের আসন সংখ্যা কমে আসছে, কারণ তারা এ পর্যন্ত অন্তত দুই শতাধিক আসনে নির্বাচন করতে চায়। এর বাবদ সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই বিষয়গুলো নিয়ে বেশ জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেন, ‘আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা এখনো চলছে। এনসিপির সঙ্গে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। আরও কিছু দল যোগ দিতে চাচ্ছে। এসব বিষয়ে আলোচনা করতে কিছু সময় লাগছে।’ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশের এক শীর্ষ নেতা জানান, ‘আমরা আট দল এই আসন সমঝোতা ও ঐক্য বজায় রাখতে চাই, তবে সেটা আমাদের সম্মান ও মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ না করে। এজন্য জামায়াতকে বেশি ছাড় দেওয়া হবে। সম্মানজনক আসন না পেলে বিকল্প চিন্তা ভাবনা করা হবে।’ SHARES রাজনীতি বিষয়: